NBSTC | এনবিএসটিসি-তে কর্মীসংকট ভয়াবহ, মাল ও জলপাইগুড়ি ডিপো জোড়ার ভাবনা

NBSTC | এনবিএসটিসি-তে কর্মীসংকট ভয়াবহ, মাল ও জলপাইগুড়ি ডিপো জোড়ার ভাবনা

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


শমিদীপ দত্ত, শিলিগুড়ি: ডিপো চালানোর মতো ইনচার্জের অভাব। তাই জলপাইগুড়ি ডিপো (Jalpaiguri Depot) ও মালবাজার ডিপোকে (Malbazar Depot) এক করে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (NBSTC)। এব্যাপারে সরকারের কাছে আবেদনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে।

শুধু তাই নয়, আগামী মাসের মধ্যে তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসের ইনচার্জ পদে থাকা আধিকারিক অবসর নিতে চলায় সেই পদে কাকে বসানো যায় তা নিয়েও নিগমের অন্দরে প্রশ্ন উঠছে। কর্মী ও আধিকারিক সংকটে পরিস্থিতি সামলাতে বিব্রত উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের কর্তারা।

জলপাইগুড়ি ও মালবাজার ডিপো মার্জ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপঙ্কর পিপলাই। তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে এক কর্মীকে একাধিক গুরত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে নিগম সামলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আর সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই ধরনের চিন্তাভাবনা। নিগমে কর্মী কবে নিয়োগ হবে, সেটাও বলা যাচ্ছে না।’

১৯৯৬ সালে শেষবার স্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয়েছিল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমে। তারপর মাঝেমধ্যে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হয়েছে। শেষ চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হয়েছে ২০১৭ সালে। এদিকে, একে একে কর্মী-আধিকারিকরা অবসর নিতে থাকাতে সমস্যা চরম আকার নেয়। এমনকি কর্মী নিয়োগ না হলে ডিপো বন্ধের মতো পরিস্থিতিও যে আসতে পরে, সেটা গত বছর অগাস্ট মাসেই উত্তরবঙ্গ সংবাদকে জানিয়ে দিয়েছিলেন নিগমের কর্তারা।

এরপরেও পরিস্থিতি খুব একটা বদল হয়নি। যার ফলে নিগমের কর্তারা যে আশঙ্কা করেছিলেন, পরিস্থিতি সেই পর্যায় চলে এসেছে। নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মাসেই মালবাজার ডিপোর ইনচার্জ পদ ফাঁকা হতে চলেছে। সেই পদে নিয়ে আসার মতো আর অফিসার খুঁজে পাচ্ছে না নিগম। এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ি ডিপোর ইনচার্জ পদে থাকা আধিকারিকের অবসরে কয়েকমাস বাকি থাকায় আপাতত মালবাজার ডিপোকে সংযুক্ত করে নিতে চাইছেন নিগমের কর্তারা।

তবে, এই সমস্যা শুধু একদিকেই নয়, সমস্যাটা চারদিক দিয়ে ঘিরেছে। তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসের ওসি ইনচার্জ পদও আগামী মাসে ফাঁকা হতে হবে। এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই টার্মিনাস পরিচালনা কী করে হবে, সেই উত্তর কারও কাছেই নেই।

আর এই পরিস্থিতিতে যদি অন্য পদের কথা বলা যায়, তাহলে কী পরিস্থিতি রয়েছে, সেটা আলাদা করে কিছু বলার নেই। ডিভিশনাল ইনচার্জের পদ সামলাচ্ছেন ট্রাফিক অফিসার। ইডিপি অপারেটর সামলাচ্ছেন অ্যাকাউন্ট অফিসারের পদ। স্টোর কিপার, স্টোর অফিসার,অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, ফুয়েল ইনস্পেকটরের মতো গুরত্বপূর্ণ পদ ফঁাকা। আগামী মাসে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে মেকানিক্যাল ইনচার্জের পদ। একজন জুনিয়ার ফোরম্যান গত মাসে অবসর নেওয়ায় ওই পদও ফঁাকা।

নিগমের বাম প্রভাবিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য তুফান ভট্টচার্য বলেন, ‘আসলে সরকার চাইছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমকে ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতে তুলে দিতে। তাই যে রুটগুলো ক্ষতিতে চলছে, সেগুলো কিছুদিন চালিয়ে বন্ধ করে দেবে। যেগুলো লাভজনক রয়েছে সেগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতে তুলে দেওয়া হবে। আমরা যাবতীয় বিষয় নিয়ে আগামী ৩১ জানুয়ারি ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কাছে যাব।’

নিগমের তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমীর সরকারের অবশ্য আশ্বাস, ‘সংযুক্তিকরণের বিষয়টা শুনিনি। তবে যদি হয়ও তাহলেও খুব একটা সমস্যা হবে না। কারণ মালবাজার ডিপো থেকে বেশি রুটের বাস চলে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *