NBSTC | এনবিএসটিসির নকল বাসে প্রতারণার জাল 

NBSTC | এনবিএসটিসির নকল বাসে প্রতারণার জাল 

শিক্ষা
Spread the love


জসিমুদ্দিন আহম্মদ, মালদা: সরকারি বাসে উঠবেন বলে রথবাড়ি যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে অপেক্ষা করছিলেন রমেন দাস। গাজোলে যাবেন তিনি। ভিড়ে ঠাসা একটি বাস এল। বাসে উঠে বুঝতে পারলেন তিনি বেসরকারি বাসে উঠে পড়েছেন। বাসের রঙের প্যাটার্ন হুবহু উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (NBSTC) মতো। একই প্যাটার্নে বাসের সামনে এনবিএসটিসির বদলে লেখা রয়েছে এনবিএসটিডিসি!

শুধু রমেনই নন। প্রতিদিনই শয়ে-শয়ে মানুষ এভাবে সরকারি বাস মনে করে বেসরকারি বাসে উঠছেন। মালদা বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড গৌড়কন্যায় এমন বাসের সংখ্যা শতাধিক। এ নিয়ে এনবিএসটিসির মালদা ডিপোর তরফে আইনি পদক্ষেপ করেও কোনও ফল মিলছে না বলে জানিয়েছেন ডিপো ইনচার্জ মলয় কর্মকার।

এ নিয়ে মালদা জেলা আদালতের আইনজীবী অরবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘প্যাটার্ন নকল করা যায় না। এ নিয়ে কঠোর শাস্তির সঙ্গে আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে। জানি না মালদা (Malda) ডিপো থেকে এ ধরনের কোনও মামলা করা হয়েছে কি না।’

রোজ মালদা বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড গৌড়কন্যা থেকে বহু বাস জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যায়। প্রতিটি রুটে অন্তত ৫-৬টি করে বাস চলছে যেগুলো এনবিএসটিসির আদলে বদলে ফেলা হয়েছে। যা দেখে চট করে বোঝার উপায় নেই বাসগুলি সরকারি না বেসরকারি।

যদিও বেসরকারি বাস মালিকপক্ষের তরফে অনন্ত চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘কোনও বেসরকারি বাসে এনবিএসটিসি লেখা নেই। রঙের প্যাটার্ন হুবহু সরকারি বাসের মতোও নয়। মালদায় বেসরকারি বাস না থাকলে পরিবহণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। সরকারি বাস সেই অর্থে আর কোথায় দেখা যায়।’

তবে অনন্ত যাই বলুন না কেন, সাধারণ যাত্রীরা কিন্তু এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। সুবল কর্মকার নামে এক নিত্যযাত্রীর অভিযোগ, ‘সরকারি বাস আমাদের প্রথম পছন্দের কারণ মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী এই বাসে তোলা হয় না। অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করা যায়। এখন দেখছি বেসরকারি বাসগুলিও এনবিএসটিসির নকল বাস রাস্তায় চালাচ্ছেন। মানুষ ভুল করে উঠে পড়ছেন। এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত প্রশাসনের।’

আরেক নিত্যযাত্রী মৌমিতা স্বর্ণকার বললেন, ‘অনেক সময় বাসে ওঠার পর জানতে পারছি এনবিএসটিসির বদলে এনবিডিটিসি লেখা রয়েছে। ততক্ষণে বাস চলতে শুরু করেছে। এভাবে প্রায়ই নিত্যযাত্রীরা প্রতারিত হচ্ছেন।’

উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের মালদা ডিপো ইনচার্জ মলয় কর্মকার জানান, বাসের ফারাক অনেক সময় তাঁরাও বুঝতে পারেন না। এ নিয়ে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন। কিন্তু এ নিয়ে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *