মহম্মদ হাসিম, নকশালবাড়ি: বৃষ্টিতে ভাঙল সেতুর একাংশ। নকশালবাড়ির (Naxalbari) হাতিঘিসা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাসিংজোতের ঘটনা। নির্মাণের দুই বছর যেতে না যেতেই সেতুর এমন দশা হওয়ায় নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন নকশালবাড়ির বিডিও প্রণব চট্টরাজ।
হাতিঘিসার অটল চা বাগান পেরিয়েই মহাসিংজোত। ২০২২ সালে এই এলাকার বামনঝোরা নদীর উপর প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৮ মিটার লম্বা সেতু নির্মাণ শুরু হয়েছিল। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তা শেষ হয়। শনিবার রাতে অল্প বৃষ্টিতে সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। অ্যাপ্রোচ রোডের নীচ থেকে মাটি ধসে গিয়েছে। যে কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে এমনটা হয়েছে বলে রবিবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাসিন্দারা। সেতুর কংক্রিটের গার্ডওয়ালও নদীতে ভেঙে পড়েছে এবং রাস্তার একাংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির চন্দ্রমোহন রায় বলেন, ‘নিম্নমানের কাজের জেরে সামান্য বৃষ্টিতে সেতুর একাংশ ভেঙেছে। জল বাড়লে গোটা সেতু ধসে যেতে পারে। বিষয়টি আমি প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সকলকেই জানিয়েছি।’ ভূপেন রায় নামে এক বাসিন্দা বললেন, ‘কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই সময় আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু তখন আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। এখন কে দায়িত্ব নেবে?’ রানি রায় নামে স্থানীয় এক মহিলার আশঙ্কা, ‘বেশি বৃষ্টি হলে তো সেতুটি নদীতে ভেসে যাবে। তখন ৫ কিলোমিটার ঘুরপথে যাতায়াত করতে হবে। দুর্ভোগ পোহাতে হবে।’
মহাসিংজোত ছাড়াও গাজিরাম এবং ভেল্টাজোতের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। অ্যাপ্রোচ রোডের মাটি ধসে যাওয়ায় সকলেই সমস্যায় পড়েছেন। এদিকে, দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়রা বোল্ডার এবং বাঁশ দিয়ে সেতুর বিপজ্জনক অংশ ঘিরে দিয়েছেন। নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনন্দ ঘোষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর সাফাই, ‘সেতু ভেঙে গেলেই নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠে। আগে এলাকাটি পরিদর্শন করব। তারপর মন্তব্য করব।’