উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বলেছিলেন পহেলগাঁও হামলার ‘অকল্পনীয়’ জবাব দেবে ভারত। কার্যত হলও তাই। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ ও পাকিস্তান অকুপায়েড কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিতে একের পর এক হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। রাত রাত ১ টা ৪০ মিনিট থেকে ২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ৪০ মিনিটের অভিযানে গুঁড়িয়ে দিল একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। অন্তত ৯ টি জঙ্গিঘাঁটি পুরো সাফ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বহওয়ালপুরে জইশ ই মহম্মদের সদর দপ্তর ও মুরিদকোটে লস্কর ই তৈবার সদর দপ্তর। অপারেশন সিন্দুর নাম দিয়ে এই অপারেশন সফল বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। পাকিস্তানও এই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সূত্রের খবর অন্তত ১০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। সূত্রের খবর, মধ্যরাতে ভারতীয় সেনার এই অপারেশনে নজর রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তাঁকে প্রতি মুহূর্তে আপডেট দেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেনাপ্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান এবং বায়ুসেনার প্রধানও বারবার প্রধানমন্ত্রীকে তথ্য দেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। অবস্থান জানানো হয় রাশিয়াকেও। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বিমানবাহিনীর তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে এই হামলার খুঁটিনাটি দেশবাসীকে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের উপর হামলা চালানো হয়। সারা দেশ তোলপাড় হয়ে যায় এই হামলায়। এরপর কূটনৈতিক ভাবে পাকিস্তানকে একাধিক আঘাত করেছে ভারত। সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল, ওয়াঘা আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, পাক নাগরিকদের দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ভাবেও পাকিস্তানকে একঘরে করার চেষ্টা করছে ভারত। সব মিলিয়ে সাঁড়াশি চাপ তৈরি করা হয়েছে ইসলামাবাদের উপরে।