উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফরে যাওয়া ৭টি সংসদীয় প্রতিনিধি দলের ভূমিকার প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মঙ্গলবার ৭টি দলের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে ছবি পোস্ট করে বলেন, ‘তারা যেভাবে ভারতের কণ্ঠস্বর তুলে ধরেছেন তাতে আমরা সকলেই গর্বিত।’
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর ভারত যেভাবে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে, এমনকি পাকিস্তান পালটা আঘাতের চেষ্টা চালালে যেভাবে সেই হামলা রুখে দিয়ে প্রত্যাঘাত করে পাকিস্তানের একাধিক সামরিক পরিকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে, তা বিশ্বমঞ্চে সঠিক ভাবে তুলে ধরতে বিশ্বের ৩৩টি দেশে ৭ টি সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠায় ভারত। এই দলে ছিলেন কংগ্রেসের শশী থারুর, ডিএমকে-র কানিমোঝি, বিজেপি-র রবিশঙ্কর প্রসাদ, রেখা শর্মা এবং ফাংনন কোনিয়াক, বিজেডি-র সস্মিত পাত্র এবং এআইএডিএমকে-র এম থাম্বিদুরাই, তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, এআইএমআইএময়ের আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মতো সাংসদরা। এরাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।
Met members of the varied delegations who represented India in numerous nations and elaborated on India’s dedication to peace and the necessity to eradicate the menace of terrorism. We’re all pleased with the way through which they put ahead India’s voice. pic.twitter.com/MZqQYgsAEp
— Narendra Modi (@narendramodi) June 10, 2025
সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলগুলিতে বিরোধী নেতাদের উপস্থিতির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি ভারতের পক্ষ থেকে একটি বড় বার্তা।’ সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে ‘ভারত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিতে সক্ষম হয়েছে। ’ এমনকি ভারতের কথা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আরও বেশি সংখ্যক আন্তঃদলীয় প্রতিনিধিদল, বিদেশে পাঠানোর পক্ষেও সওয়াল করেছেন মোদি। শিবসেনা ( ইউবিটি) সাংসদ প্রিয়াংকা চতুর্বেদি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছি, যা তিনি মনোযোগ সহকারে শুনেছেন।’
পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারত ৭ মে ভোরে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি সন্ত্রাসবাদী শিবির ধ্বংস করার জন্য ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে। পরবর্তী সমস্ত পাকিস্তানি আক্রমণের প্রতিশোধ এই অভিযানের আওতায় পরিচালিত হয়েছিল। ১২ মে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অপারেশন সিঁদুর এখন ভারতের প্রতিষ্ঠিত নীতি, যা ভারতের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি নির্ণায়ক পরিবর্তনের চিহ্ন।’ তিনি বলেছিলেন যে ‘অপারেশন সিঁদুর দেশের সামরিক দক্ষতায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অপারেশন সিন্দুরকে ‘ভারতীয় ইতিহাসে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গৃহীত সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ” বলে অভিহিত করেছেন।