উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আমেরিকা ও ভারতের মধ্যেকার সম্পর্কে কি শীতলতা ক্রমাগত বাড়ছে? এক জার্মান সংবাদপত্রের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত কয়েক সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কমপক্ষে চারবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মোদি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। জার্মান সংবাদপত্র ফ্রাঙ্কফুর্টার অ্যালগেমিইন (Frankfurter Allgemeine)-এর দাবি, এর কারণ হচ্ছে মোদির ‘রাগ এবং সতর্কতা’। ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক ভারতের ওপর ৫০% শুল্ক আরোপের আবহে এই ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মোদি কেন ফোনে কথা বলতে চাননি? জার্মান সংবাদপত্রটি এর পেছনে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে। তাঁদের দাবি, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ওপর ৫০% শুল্ক আরোপ করে বাণিজ্যিক চাপ বাড়াচ্ছে। মোদি এই চাপের কাছে মাথা নত করতে চান না। তাঁদের আরও দাবি, মোদি ট্রাম্পের ‘ভিয়েতনাম ফাঁদে’ পড়তে চান না।
প্রসঙ্গত, এর আগে ট্রাম্প ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে ফোনে কথা বলেছিলেন এবং কোনও সমঝোতায় না পৌঁছলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন যে, চুক্তি হয়ে গেছে। সংবাদপত্রটির মতে, মোদি এমন পরিস্থিতিতে পড়তে চান না। ট্রাম্প সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে একা কৃতিত্ব দাবি করেছিলেন। এছাড়াও, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে আতিথেয়তা জানানোর ঘটনা ভারত উসকানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখেছে। মোদির ‘রাগ’ হওয়ার নেপথ্যে এই কারণগুলিকেও উল্লেখ করেছে সংবাদপত্রটি।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প কর্তৃক ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণার পর থেকেই দুদেশের পারস্পারিক সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। সেই আবহে জার্মান সংবাদপত্রটির এই দাবি স্বাভাবিকভাবেই নজর কাড়ছে সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদেরও।