উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জেল থেকে সরকার চালানো সংবিধানের অপমান। মোদি (Narendra Modi) সংবিধানের অপমান মেনে নেবে না।’ বৃহস্পতিবার দমদমের সভা থেকে দুর্নীতি বিরোধী বিলের স্বপক্ষে সওয়াল করে মোদি বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মচারীকেও যদি ৫০ ঘণ্টা পুলিশি হেফাজতে রেখে দেওয়া হয়, তা হলে তাকে তার পদ থেকে নিলম্বিত বা সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। কিন্তু একজন মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রী জেলে বসে সরকার চালাতে পারেন। এটা কীভাবে সম্ভব?’
এদিনের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বিলের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে নিশানা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। মোদি জানান, শিক্ষক নিয়োগ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েও একজন পদ ছাড়তে চাননি। গরিবের রেশন চুরির দায়ে অভিযুক্ত হয়েও আরেক নেতা মন্ত্রীত্বে থেকে গেছেন। এঁরা জনতাকে ধোঁকা দিয়েছেন। এঁদের সরকারি পদে থাকার অধিকার আছে?’ মোদি এও মনে করিয়ে দেন দুর্নীতি বিরোধী বিলের আওতায় থাকছেন প্রধানমন্ত্রীও।
বুধবারই সংসদে ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল সহ আরও ২ টি বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। যেই বিলে বলা হয়েছে, গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে গ্রেপ্তার হয়ে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি কোনও মন্ত্রী যদি ৩০ দিন জেলে থাকেন, তাহলে তাঁকে পদ থেকে অপসারিত হতে হবে। এই বিল সংসদে পেশ হতেই সুর চড়ায় বিরোধী শিবির। যার জেরে সংসদ মুলতুবি হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বিলটিকে জয়েন্ট পার্লিয়ামেন্টারি কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। বিরোধীদের যুক্তি এই আইন গণতন্ত্র বিরোধী। ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি খুব সহজেই বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার করিয়ে পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারবে।