উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে এসে দুর্নীতি সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রসঙ্গ তুলেছেন। এবার তারই পালটা দিল তৃণমূল। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল নারদ স্টিং অপারেশনে শুভেন্দু অধিকারির টাকা নেওয়ার ভিডিও দেখিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজারা। একই সঙ্গে এলইডি স্ক্রিনে মোদীর বক্তৃতা এবং শুভেন্দুর নারদের ফুটেজ দেখানো হয়। এরপরই কুণালের খোঁচা, ‘যে নেতাদের বিরুদ্ধে বিজেপি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি করেছিল, সেই নেতা এখন বিজেপি-তে রয়েছেন, তাঁদের আগে দল থেকে বহিষ্কার করার সাহস দেখান মোদি। তার পর দুর্নীতি নিয়ে অন্যদের দিকে আঙুল তুলবেন।’
উল্লেখ্য এদিন নিজের ভাষণে সংসদের সদ্য পেশ করা ১৩০তম সংবিধান সংশোধন বিলের কথা উত্থাপন করেন মোদি। বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ মামলায় গ্রেপ্তারির পরেও এক মন্ত্রী পদ ছাড়তে চাননি। তৃণমূলের আরও এক মন্ত্রী রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন। তিনিও মন্ত্রিত্ব ছাড়তে চাননি। মানুষের ভাবনা নেই এঁদের। এঁরা জনতাকে ধোঁকা দিয়েছেন। এঁদের সরকারি পদে থাকার অধিকার আছে?’ এইখানেই শশী পাঁজা বলেন, ‘পারলে ব্যবস্থা নিয়ে দেখান। সরকারি প্রক্রিয়া তো দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়। বিজেপি-র সদিচ্ছা থাকলে এঁদের দল থেকে তাড়াক। আসলে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি নির্মূল করতে চান না। তিনি চান বিরোধীদের নির্মূল করতে।’
এদিন বাংলায় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা বন্ধ রাখার অভিযোগ ফের একবার তুলে ধরেছে তৃণমূল। তৃণমূলের যুক্তি গুজরাতের মন্ত্রীর ছেলে ১০০ দিনের কাজের টাকা লুট করে গ্রেপ্তার হয়েছে। উত্তর প্রদেশে সব থেকে বেশি ভুয়ো জব কার্ড পাওয়া গেছে। তবু সেই রাজ্যে টাকা বন্ধ না করে বাংলায় কেনও বন্ধ করা হয়?
পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেন শ্রমিকরা বাইরে কাজ করতে যান সেই প্রশ্নও এদিন ভাষণে তুলে ধরেছেন মোদি। বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে কাজ নেই, বিজেপি এলেই তবে রাজ্যের বিকাশ হবে। এর পালটা কুণালের দাবি, বাংলায় দেড় কোটি মানুষ ভিনরাজ্য থেকে এসে কাজ করেন। ২০২৬ সালের ভোটে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে মোদির আর্জি প্রসঙ্গে শশী পাঁজা বলেন, ‘মোদী বার বার বাংলায় আসতে পারেন। কিন্তু বিজেপি বাংলায় আসবে না।’ কুণাল জানান, ২০২৬ সালের নির্বাচনেও তৃণমূল জিতবে।