নাগরাকাটাঃ মেয়ের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। শুরু হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেলের কাজ। মেয়েকে দেওয়ার জন্য সোনার গয়নাগাটি কেনাও শেষ হয়ে গিয়েছিল সম্প্রতি। মাছ মাংসের বায়না দেওয়ার জন্য দিন দুয়েক আগে গৃহকর্তা ব্যাংক থেকে তুলে এনে বাড়ির আলমারিতে রেখেছিলেন কয়েক লক্ষ টাকা। সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিবারের সদস্যরা দেখেন আলমারির লকার খোলা। তার ভেতরে রাখা টাকা নেই। সন্দেহ, খাবারে রাসায়নিক বা অন্য কিছু মিশিয়ে সবাইকে ঘুমে আচ্ছন্ন করে দিয়ে ওই চুরি করা হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে সুলকাপাড়ার পাটোয়ারি পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল সামাদ নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। নগদ ৬ লক্ষের কিছু বেশি টাকা ও ৬৯ গ্রাম গয়না লোপাট হয়েছে বলে সোমবার নাগরাকাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবারটি। নাগরাকাটা থানার আইসি কৌশিক কর্মকার জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট পরিবারটি সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের আগে রবিবার তাঁদের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠান ছিল। যা মিলাদ নামে পরিচিত। আত্মীয় স্বজন সহ বহু লোক সেখানে এসেছিলেন। সারাদিন হইহই করেই কেটে যায়। সোমবার এমন ঘটনা দেখে এখন পরিবারটির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। আব্দুল সামাদ বলেন, ‘এমনটা হবে স্বপ্নেও ভাবি নি। সম্ভবত ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কেউ বা কারা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। রাতের বেলা আমরা কিছুই টের পাই নি। আশা করছি পুলিশ দ্রুত এর কিনারা করতে পারবে।’
পুলিশের কাছে গৃহকর্তা যে অভিযোগটি দায়ের করেছেন তাতে তিনি জানিয়েছেন, রবিবার রাতের বেলার খাওয়া দাওয়ার পর পরিবারের সবাই অসুস্থ বোধ করছিল। পরে প্রত্যেকই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। পুলিশ জানাচ্ছে এই বিষয়টিও তাঁদের তদন্তের আওতায় রয়েছে। অভিযোগপত্রে ড্রয়ারে রাখা ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, আলমারির ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, শো কেসে রাখা ২৫ হাজার টাকা ও পার্সে রাখা সাড়ে ৪ হাজার টাকা চুরি গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। গয়নার মধ্যে মেয়ের বিয়ের জন্য কেনা গলার হার, হাতের বালা, দুটি আংটি সহ বাড়ির পুরনো আরও কিছু অলঙ্কার চুরি যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।