নাগরাকাটা: নাগরাকাটার (Nagrakata) এক হাজার দু’জন চা শ্রমিককে জমির পাট্টা দিল ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। মঙ্গলবার টন্ডু, নয়া সাইলি ও গ্রাসমোড় মিলিয়ে ৩ চা বাগানের শ্রমিকদের ওই পাট্টা দেওয়া হয়। প্রত্যেকে ৫ ডেসিমেল করে জমির পাট্টা পেয়েছেন। টন্ডুতে ২৭০ জন, নয়া সাইলিতে ৩৪২ জন ও গ্রাসমোড়ে ৩৯০ জন শ্রমিককে পাট্টা দেওয়া হয়।
নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত। চা শ্রমিকরা জমির অধিকার পাচ্ছেন এটা আগে কখনও ভাবাই যেত না।’ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক প্রজ্ঞা লেপচা বলেন, ‘সমীক্ষার কাজ অব্যাহত আছে। ধাপে ধাপে বিভিন্ন বাগানের আরও চা শ্রমিক পাট্টা পাবেন।’
এদিকে এদিন ধরণিপুর চা বাগানে আবাসন দপ্তরের তরফে সেখানকার শ্রমিকদের জন্য সরকারি উদ্যোগে যে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে সেই চা সুন্দরী প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফুলবাড়ির ভিডিওকন মাঠের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। বাগানটির ২৮৫ জন শ্রমিককে চা সুন্দরীর মাধ্যমে ঘর দেওয়া হল বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি এই দুই জেলার বিভিন্ন চা বাগানে যথাক্রমে ২২ ও ২৫টি ক্রেশ তৈরি হচ্ছে বলেও জানান। শ্রম দপ্তরের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৩৮ হাজার শ্রমিককে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাগরাকাটায় ২ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দে একটি রাস্তা তৈরির কথাও তিনি ঘোষণা করে গিয়েছেন। সম্প্রতি রাজ্য সরকার আলিপুরদুয়ার জেলার ৮টি ও জলপাইগুড়ি জেলার ৭টি বন্ধ চা বাগান খুলেছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার নাগরাকাটার ৩ চা বাগানেই পাট্টা প্রদান নিয়ে সরকারি উদ্যোগে আলাদা করে ৩টি অনুষ্ঠান হয়। টন্ডু চা বাগানের শ্রমিক নেতা কৈলাশ গোপ বলেন, ‘পাট্টা প্রাপকরা পাকা বাড়ি তৈরির জন্য পরবর্তীতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে পাবেন। এর থেকে ভালো খবর আর কিছু হতে পারে না।’