Nagrakata | ডুয়ার্সের একাধিক চা বাগানে হানা ইডির, নেপথ্যে কি নিয়োগ দুর্নীতি

Nagrakata | ডুয়ার্সের একাধিক চা বাগানে হানা ইডির, নেপথ্যে কি নিয়োগ দুর্নীতি

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


নাগরাকাটা : একযোগে ই়ডি হানা দিল নাগরাকাটার বামনডাঙ্গা, মেটেলির সামসিং চা বাগান ও সেখানকার ইয়ংটং ডিভিশনে। বেশ কয়েকটি গাড়ির কনভয় নিয়ে শুক্রবার সকালে ই়ডি-র ৩ টি টিম ৩ স্থানে আসে। ঠিক কি কারণে তাঁরা আসলো সেব্যাপারে অফিসিয়ালি কিছু জানা যায় নি। তবে একটা সময় বামনডাঙ্গা ও ইয়ংটং সহ সামসিং চালাতেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দূর্নীতি কাণ্ডে মিডলম্যান হিসেবে সিবিআই এর হাতে ধৃত প্রসন্ন কুমার রায়। তাঁর এক ভাই-ও বাগানগুলি দেখাশোনা করতেন। দূর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে বাগানে কোনভাবে বিনিয়োগ করা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিনের জল্পনা রয়েছে। ইডি-র এদিনের হানার সঙ্গে ওই মানি লন্ডারিং এর মামলার যোগসূত্র রয়েছে বলে খবর। সামসিং এর বিষয়ে সেখানকার বর্তমান মালিক ঋত্ত্বিক ভট্টাচার্যকে ইডি আগামী ৯ জুন কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে দেখা করার নোটিশ দিয়েছে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, ‘ইডি তদন্তে এসেছিল। তবে কোন মামলার জন্য সেটা আমাদের জানানোর পরই পরিষ্কার হবে।’ ঋত্ত্বিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রসন্ন কুমার রায় বা তাঁদের কারো সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। ওঁদের কাউকে চিনিও না। বাগান যখন বন্ধ ছিল তখন শিলিগুড়ির শ্রমিক ভবনে সরকারী আধিকারিকদের উপস্থিতিতে শ্রমিক-মালিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে আমরা বামনডাঙ্গা ও সামসিং এর দায়িত্ব নিই। বাগান চালানোর সমস্ত সরকারী অনুমতি ও নথিপত্র রয়েছে। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে ৯ তারিখ অবশ্যই যাব। কোন সমস্যা নেই।’
এদিন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে ৩ টি গাড়িতে বামনডাঙ্গায় এসে ইডি আধিকারিকরা সোজা অফিসে চলে যান। ম্যানেজার সহ কর্মীদের মোবাইল টেবিলের ওপর রাখতে বলেন। বাইরের কারো ভেতরে আসার অনুমতি ছিল না। এরপর সেখানে তৈরি চা বাইরে বিক্রির জন্য পাঠানোর হিসেব নিকেশ যে খাতায় রাখা হয় তা পরীক্ষা করে দেখেন। আরো নানা নথিপত্রও দেখেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা নাগাদ ফিরে যান। সামসিং এ ২ টি টিম এবং ইয়ংটং এ ২ টি টিম গিয়ে অফিসের পাশাপাশি ম্যানেজারের বাংলো, ফ্যাক্টরিতেও যান। বেশ কিছু নথিপত্র জেরক্স করে নিয়ে যান বলে জানা গিয়েছেন। ভারতীয় টি ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সামসিং ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সার্কি বলেন, ‘কি কারণে ইডি এসেছিল তা বলতে পারবো না। তবে ওঁরা বহু কিছু দেখতে চায়। তদন্তের পর বিকেলে ফেরত যায়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *