নাগরাকাটা: বাগানের পরিস্থিতি ভাল নয়। মজুরি, বেতন অনিয়মিত। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বাড়ির ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয়, সেকারণে বিকল্প উপার্জনের দিশা দেখাতে সোমবার সন্ধ্যায় রেড ব্যাংক চা বাগানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে স্লাইড শো দেখাল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ডুয়ার্স জাগরণ’। এতে মূলত প্রতি বাড়িতেই পালিত ছাগল ও মুরগির পরিচর্যা ঠিক কী উপায়ে করলে আয় এক ধাক্কায় দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ হতে পারে তা বোঝানো হয়। এই প্রসঙ্গে ডুয়ার্স জাগরণের কর্ণধার ভিক্টর বসু বলেন, ‘একটি বাড়িতে যদি ১০ টি মুরগি ও ২ টি ছাগল থাকে তবে আমাদের দেখানো পথে সেগুলির লালনপালন করলে বছরে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা উপার্জন নিশ্চিত। এতে অভাবী শ্রমিক পরিবারগুলির সন্তানদের আর্থিক সংকটে পড়াশোনায় অন্তত ছেদ পড়বে না বলেই মনে করি।’
এদিন বাগানের ৩ নম্বর লাইনে ওই কর্মসূচীটির আয়োজন করা হয়। সেখানে বিজ্ঞানসন্মত উপায়ে মুরগি, ছাগল প্রতিপালনের দিকগুলি প্রজেক্টারের মাধ্যমে দেখানো হয়। ওই প্রাণীদের নিয়মিত টিকাকরণ, যেখানে সেগুলি থাকে সেই স্থানের পরিচর্যার কৌশল বুঝিয়ে বলা হয়। বাগানের পঞ্চায়েত সদস্য সবিতা হেমব্রম বলেন, ‘অত্যন্ত কার্যকরী একটি আলোচনা হয়েছে। রেড ব্যাংকের শ্রমিকরা যে এতে দারুণভাবে উপকৃত হবে তা নিয়ে কোন সংশয় নেই।’