উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, এমনই জানালেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভিদ শামিম। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, হিংসার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয়দের আতঙ্ক কাটানোর চেষ্টা চলছে। রুটমার্চ জারি আছে।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে অশান্ত হয়েছে উঠেছে মুর্শিদাবাদ। বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার নিয়েছে। বিশেষ করে সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, জঙ্গিপুরের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। হিন্দুদের বাড়ি-মন্দির ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু এলাকায়। উঠেছে মারধরের অভিযোগ। প্রাণের ভয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে অনেকেই বৈষ্ণবনগরে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত হিংসার বলি হয়েছেন তিন জন। হিংসা মোকাবিলায় শুরু থেকে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা না নেওয়ায় পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সেকারণে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।
এদিন এডিজি আইন শৃঙ্খলা বলেছেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই ধরা হবে। সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুনের তদন্ত চলছে। উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করছেন।’
জাভিদ শামিমের বক্তব্য, ঘরছাড়াদের ফেরানোই এখন তাঁদের লক্ষ্য। তবে এখনও ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। শান্তি ফেরাতে স্থানীয়দের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত অশান্ত এলাকাগুলিতে ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে। জঙ্গিপুরে শান্তি বজায় আছে। শেষ ৩৬ ঘণ্টায় কোনও অশান্তি হয়নি। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘটনার তদন্তের ভার এনআইয়ের হাতে দেওয়ার দাবি তুলেছেন।