Murshidabad | বাংলাদেশির প্রেমে পড়ে শ্রীঘরে তরুণ 

Murshidabad | বাংলাদেশির প্রেমে পড়ে শ্রীঘরে তরুণ 

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


পরাগ মজুমদার, বহরমপুর: আরব ভূমিতে পরিচয়। সেই পরিচয় প্রেমে পরিণত হতে বেশি সময় নেয়নি। হোক না অনলাইনে, কিন্তু এক হয়েছিল চারহাত। বাদ সাধল যেন স্ত্রীকে ঘরে নিয়ে আসা। এখন অনুপ্রবেশকারী স্ত্রীর সঙ্গে আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে শ্রীঘরে স্বামী। তবে তাঁদের এই অবস্থার পিছনে রয়েছে বধূ নির্যাতনের মামলা। ওই অভিযোগ দায়ের না হলে আরজিনা খাতুনের হদিস পুলিশ পেত না এবং তাঁর সঙ্গে জেলের ভাত খেতে হত না সুরোজ শেখকে, বলছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালবাগ মহকুমার নবগ্রাম।

রিয়েল লাইফে যেন রিল লাইফের গল্প। বছর কয়েক আগে কর্মসূত্রে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন নবগ্রামের ইকরোল এলাকার সুরোজ। সেখানেই তাঁর চোখের ইশারায় নতুন সম্পর্কে সম্মতি বাংলাদেশের রংপুর জেলার পিরগঞ্জ থানার বৈইরখাই এলাকার বাসিন্দা আরজিনা খাতুনের। শুষ্ক হলেও ‘ওয়াদি আল রুমা’য় দুজন প্রেমের ভেলা ভাসিয়ে দেন। নতুন স্বপ্ন নিয়েই লালবাগের গ্রামে ফেরেন সুরোজ, বাংলাদেশে ফিরে যান আরজিনা। প্রেমের সূত্র ধরেই পদ্মাপাড়ের মেয়েকে অনলাইনে বিয়ে করেন নবাবের জেলা মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা সুরোজ। প্রায় দেড় বছর আগে জলপাইগুড়ি জেলার একটি সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে নিয়েও আসেন সুরোজ। নিজের পরিচয় আত্মগোপন করে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে শুরু করেন আরজিনা। সংসারের চাকা গড়াতে থাকে কালের নিয়মে। কিন্তু ছন্দপতন ঘটতে বেশিদিন লাগেনি। মধুর সম্পর্কে শুরু হয় টানাপোড়েন, চলতে থাকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা।

যা কিছুদিনের মধ্যে নারী নির্যাতনের পর্যায়ে পৌঁছায়। অভিযোগ, স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলত প্রায়দিনই। এতেই অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা থানায় পুরো বিষয়টি জানান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেই টের পায় আরজিনা বাংলাদেশি এবং তাঁকে ভারতীয় হিসেবে পরিচয় দিয়ে ঘরে রেখেছিলেন সুরোজ। হাতে কিছু তথ্য প্রমাণ আসার পরেই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লালবাগের এসডিপিও আকুল কর রাকেশ মহাদেব বলেন, ‘বধূ নির্যাতনের তদন্তে নেমে নবগ্রামের পুলিশ জানতে পারে ওই মহিলার আসল পরিচয়। সে বাংলাদেশের বাসিন্দা। তিনি অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন। ফলে ওই মহিলাকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ধরা হয়েছে তাঁর স্বামী সুরোজকে।’ স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম শেখ বলেন, ‘এতদিন জানতেই পারিনি ওই গৃহবধূ ছদ্মবেশে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *