উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল্ড ডেস্ক: নয়া ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় শুক্রবার থেকেই অগ্নিগর্ভ রূপ নেয় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি, সামসেরগঞ্জ সহ কয়েকটি এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শনিবারই কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central drive) মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Excessive Court docket)। সেই মতো সারারাত টহলদারি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সঙ্গে ছিল পুলিশও। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে রবিবার সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ মিলে যৌথ রুটমার্চের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার সকাল থেকেই থমথমে পরিবেশ রয়েছে মুর্শিদাবাদে। অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ। রাস্তায় চলাফেরা করছেন খুব কম লোকজন। নিরাপত্তার জন্য ধুলিয়ান এবং সুতি স্টেশনে বাড়তি রেল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কলকাতার রুটে সরকারি বাস চলাচল করলেও, তা সংখ্যায় বেশ কম। এদিকে, শনিবার রাত ৯টা থেকেই সমসেরগঞ্জ এবং সুতির মোট ৯টি স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। পরে অশান্তির আশঙ্কায় রাতে আরও বাহিনী আনা হয়। বিভিন্ন মন্দির কমিটি, স্থানীয় ক্লাব ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেছেন মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। গোটা মুর্শিদাবাদে জেলাকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের প্রধানদের সঙ্গে রবিবার সুতি থানায় শান্তি বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে বলে খবর।
শনিবার সন্ধ্যাতেই মুর্শিদাবাদে পৌঁছান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। গতকাল রাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং ডিজিপি রাজীবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৩৮ জন। আরও পাঁচ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঝাড়খণ্ড থেকে মুর্শিদাবাদে আসছে।