উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ লজ্জা নেই পাকিস্তানের। এশিয়া কাপে ভারতের কাছে ফাইনাল সহ টানা তিনটে ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান। এসিসির চেয়ারম্যান পাকমন্ত্রী নকভির হাত থেকে ফাইনালে জয়ী হয়েও ট্রফি নেয়নি ভারত। এককথায় পিসিবি তথা এসিসির চেয়ারম্যানকে ‘থাপ্পড়’ মেরেছিলেন সূর্যকুমাররা। দেশে ফিরে সূর্যদের দেওয়া সেই ‘থাপ্পড়’ খাওয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি। তাঁকে দেওয়া হচ্ছে সোনার মেডেল। এই খবরে হাসির রোল উঠেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে।
এশি কাপ ফাইনালের পুরস্কার মঞ্চে নিজেকে ‘কার্টুন’ মনে করলেও দেশবাসীর কাছে তিনি হিরো বনে গেছেন। আগেই ভারতীয় ক্রিকেটাররা জানিয়ে দিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন হলে নকভির হাত থেকে ট্রফি নেবেন না। এই সিদ্ধান্ত জানার পরও এসিসির চেয়ারম্যান নকভি অন্যদের হাত দিয়ে পুরস্কার দেওয়ার অনুমতি দেননি। ভারত তাঁদের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকায় ট্রফি ও মেডেল নিয়েই পালিয়ে যান এই ‘নির্লজ্জ’ পাকমন্ত্রী। নকভির ভূমিকা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে বিশ্বের ক্রীড়ামহলে। যদিও পাকিস্তানে গিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই পিসিবির চেয়ারম্যান। তাঁকে দেওয়া হচ্ছে শহীদ জুলফিকার আলি ভুট্টো এক্সেলেন্স গোল্ড মেডেল। জানা গিয়েছে, এই পুরস্কার ঘোষণা করেছেন করাচি বাস্কেটবল সংস্থার প্রধান গুলাম আব্বাস জামাল। এই মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানটি হবে করাচিতে। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি।
এশিয়া কাপের ট্রফি ‘চুরি’ করে প্রবল চাপে পাক ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নকভি। নকভির বিরুদ্ধে সুর্যরা অভিযোগ করেছিলেন, এশিয়া কাপের ট্রফি নিয়ে পালিয়েছেন পিসিবির চেয়ারম্যান নকভি। চাপে পড়ে তিনি নিজের লজ্জা ঢাকতে শর্ত চাপিয়ে বলেছিলেন, দুবাইয়ে গিয়ে ট্রফি নিয়ে যেতে হবে সূর্যকুমার যাদবকে। তারপরেই শোনা যায়, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায় নরম সুরে কথা বলেছিলেন নকভি। যদিও পরে সেটা অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকেও পাকিস্তানের মন্ত্রীকে তুলোধোনা করে বিসিসিআই। এই ট্রফি তো নকভির ব্যক্তিগত বা পৈতৃক সম্পত্তি নয়। ফলে তিনি ট্রফি ও মেডেল নিজের সঙ্গে করে হোটেলের ঘরে নিয়ে যেতে পারেন না। তাতে নকভি পালটা যুক্তি সাজান, ভারত যে তাঁর হাত থেকে ট্রফি নেবে না, সেটা মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল। লিখিতভাবে জানানো হয়নি। তাই তিনি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। নকভির কথায়, “নিজেকে কার্টুনের মতো লাগছিল।” মোদ্দা কথা, তাঁকে চরম ‘অপ্রস্তুত’ অবস্থায় পড়তে হয়। সেটাকেই সাফল্য হিসেবে দেখছে পাকিস্তান।