Modi-Jinping Assembly | সীমান্ত সন্ত্রাস মোকাবিলায় বেজিংকে পাশে চেয়ে বার্তা মোদির! কী বলল চিন?

Modi-Jinping Assembly | সীমান্ত সন্ত্রাস মোকাবিলায় বেজিংকে পাশে চেয়ে বার্তা মোদির! কী বলল চিন?

ব্লগ/BLOG
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বেজিংয়ের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার সাংবাদিকদের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময় সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বেজিংয়ের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।’

মিসরি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন যে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা ভারতের অগ্রাধিকার, এবং ভারত ও চিন দুই দেশের উপরই এই সন্ত্রাসবাদের প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন।’ বিদেশ সচিব জানান, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন যে এটি এমন একটি বিষয় যা ভারত ও চিন উভয়কেই প্রভাবিত করে, এবং তাই, আমাদের উভয়েরই আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় একে অপরের সঙ্গে বোঝাপড়া রাখা এবং সমর্থন করা গুরুত্বপূর্ণ।’ সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বেজিং নয়াদিল্লিকে তাঁর সমর্থন জানিয়েছে বলেও দাবি করেন বিক্রম মিসরি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের কৌশলগত বন্ধুর তালিকায় রয়েছে চিন। নানা সময় ভারত দাবি তুললেও চিন কখনই সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলতে চায়নি। বরং পাকিস্তানে থাকা মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করার জন্য ভারতের উদ্যোগকে চিন বাধা দিয়ে এসেছে। এমনকি পহেলগাঁও হামলা পরবর্তী সময়েও পাকিস্তানের প্রতি চিনের প্রত্যক্ষ সমর্থন অটুট ছিল। কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত চিনের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। দুই দেশের মধ্যেকার সমস্যা একেবারে মিটে না গেলেও বেশ কিছু বিষয়ে জটিলতা কাটার ইঙ্গিত মিলেছে। এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে বেজিং গিয়ে জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর তাই সীমান্ত সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলতে পারা নিঃসন্দেহে একটা বড় অগ্রগতি বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *