Modi | চ্যালেঞ্জ নিয়ে ৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধি, ‘বন্ধু’কে বার্তা মোদির

Modi | চ্যালেঞ্জ নিয়ে ৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধি, ‘বন্ধু’কে বার্তা মোদির

শিক্ষা
Spread the love


নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন : অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেই চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি ৭.৮ শতাংশ হারে বেড়েছে। মঙ্গলবার দিল্লিতে (Delhi) সেমিকন ইন্ডিয়া সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। চিনের তিয়ানজিন থেকে সবে দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর বার্তা যে শুল্ক ইস্যুতে ভারত-আমেরিকার চলতি টানাপোড়েনের দিকে ইঙ্গিত করছে, সেই ব্যাপারে একমত পর্যবেক্ষকরা।

আমেরিকা চাপে ফেলার চেষ্টা করলেও ভারত যে নিজের মতো করে আর্থিক বিষয়গুলিতে সিদ্ধান্ত নেবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রাখেননি মোদি। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্পায়নের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘একসময় তেলকে কালো সোনা বলা হত। এখন সেমিকন্ডাক্টর (Semiconductor) চিপকে ডিজিটাল হিরে বলা হয়। গোটা বিশ্ব আজ ভারতের ওপর ভরসা করছে। ২০২১-এর পর থেকে ১০টি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পে ১৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ভারতই গড়ে তুলবে আগামী দিনের সেমিকন্ডাক্টর দুনিয়া।’

ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ হারে শুল্ক চাপিয়েছে ট্রাম্প (TRUMP) সরকার। আমেরিকায় রপ্তানি ধাক্কা খাবে আঁচ করে রাশিয়া, চিনের বাজারের দিকে নজর দিয়েছে ভারত। তিয়ানজিনে এসসিও বৈঠকের ফাঁকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Shi Jinping) এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির সখ্য নজর কেড়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভ্রান্ত শুল্কনীতি চিন-রাশিয়ার দিকে ঝুঁকতে ভারতকে কার্যত বাধ্য করেছে বলে মনে করছেন আমেরিকার অর্থনীতিবিদ, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং প্রাক্তন আমলারা।

ট্রাম্প অবশ্য ভুল স্বীকার করতে নারাজ। মঙ্গলবার নতুন তথ্য দিয়েছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, ভারত নাকি মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক সম্পূর্ণ তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব দিতে দেরি করে। তার আগেই ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। ট্রাম্পের কথায়, ‘খুব কম লোক এটা জানেন যে আমরা ভারতের সঙ্গে সামান্যই ব্যবসা করি। কিন্তু ওরা আমাদের সঙ্গে বিরাট অঙ্কের ব্যবসা করে। আমরা ওদের সবচেয়ে বড় ক্লায়েন্ট।’ ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প আরও লিখেছেন, ‘ভারত তার বেশিরভাগ তেল এবং সামরিক পণ্য রাশিয়া থেকে কেনে, আমেরিকা থেকে ক্রয়ের পরিমাণ খুব কম। ওরা এখন শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু দেরি হয়ে গিয়েছে। ওদের এটা বহু বছর আগে করা উচিত ছিল।’
ভারতের তরফে যদিও এমন কোনও প্রস্তাবের কথা সরকারিভাবে জানানো হয়নি। বিদেশমন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, আমেরিকা শুল্ক চাপালেও পালটা শুল্ক আরোপের পথে হাঁটেনি ভারত। জট কাটাতে দু-দেশের মধ্যে আধিকারিক স্তরে আলোচনা জারি রয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *