ঘোকসাডাঙ্গা: বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে অধিকাংশ যুক্ত। কেউ ইউটিউবে, কেউ ফেসবুকে, কেউ ইনস্টাগ্রামে, কেউ আবার সাবেক টুইটার বা এক্স হ্যান্ডেলে। অনেকেই আবার সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছে। আর এই কাজ করতে গিয়ে একজনের সঙ্গে আরেকজনের পরিচিতিও বাড়ছে। আর এরই মাঝে আলিপুরদুয়ার জেলার এক নাবালিকা ইউটিউবারের অন্তঃসত্বা হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। আর সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন তারই ইউটিউবার প্রেমিক। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মাথাভাঙ্গার সার্কেল ইন্সপেক্টর অজয় কুমার মণ্ডলের কথায়, অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে ইউটিউবার এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পকসো ধারায় মামলা রুজু করে ধৃতকে এদিন মাথাভাঙ্গা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলার এক জনপ্রিয় নাবালিকা ইউটিউবারের সঙ্গে বেশ কয়েক মাস আগে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের ঘোকসাডাঙ্গা থানা এলাকার এক ইউটিউবার যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকেই দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক। ধীরে ধীরে দুই ইউটিউবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ের সম্পর্কে কথাও হয়। শর্তসাপেক্ষে বিয়েতে মত দেয় নাবালিকার পরিবার। জানিয়ে দেওয়া হয় ওই নাবালিকা প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। এরমাঝেই ওই নাবালিকা ইউটিউবার অসুস্থ হয়ে পরে। তাকে কোচবিহারে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানেই চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানতে পারেন নাবালিকা অন্তঃসত্বা।
এদিকে, নিয়ম মেনে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরে আনে কোচবিহার পুলিশের। তারপরেই ঘোকসাডাঙ্গা পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত করে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত ইউটিউবারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মাথাভাঙ্গার সার্কেল ইন্সপেক্টর অজয় কুমার মণ্ডল জানান, পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরেই পকসো ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ধৃতকে মাথাভাঙ্গা আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওই নাবালিকা ইউটিউবার অসুস্থ অবস্থায় নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলে তার মেডিকেল টেস্ট সহ জবানবন্দি নেওয়া হবে।