হরিশ্চন্দ্রপুরঃ জনতার হাতে পড়লে পুলিশকে পিটিয়ে বৃন্দাবন দেখিয়ে দেবে। বুধবার হরিশ্চন্দ্রপুরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই ভাষাতেই আক্রমণ করেন সিপিএমের রাজ্য যুব সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তজমুল হোসেনকে।
সম্প্রতি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ মীমাংসার প্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে স্থানীয় সিপিএম নেতা শেখ খলিল থানায় গেলে অভিযোগ কর্তব্যরত এক সাব ইন্সপেক্টর তানবীর হাবিব আজাদ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন হরিশ্চন্দ্রপুরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই তিনি পুলিশ ও মন্ত্রী তজমুল হোসেনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “সামনে এমন দিন আসছে যেদিন পুলিশকে মেরে বৃন্দাবন দেখিয়ে দেবে সাধারণ মানুষ।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এখন মন্ত্রীর অফিসে পরিণত হয়েছে সপ্তাহে তিন দিন তিনি ওখানে নিয়ম করে অফিস করেন।”
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঘুষের টাকা টেবিলে ভাগবাটোয়ারার বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মীনাক্ষী। গলায় হাত দিয়ে পেট থেকে ঘুষের টাকা মানুষ বের করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুব সভানেত্রী।
এদিন সিপিএম নেতা প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য শেখ খলিল বলেন, “এক মহিলার অভিযোগ খতিয়ে না দেখে ওই অফিসার বিপক্ষের হয়ে কথা বলছিলেন। ওই অফিসারকে সাহেব সম্মোধন করেই বলি, আপনি তদন্ত করে যা করবেন, সেটাই মেনে নেব। আচমকা উনি প্রচন্ড রেগে গিয়ে আমাকে অশালীন ভাষায় আক্রমন করেন। লক আপে ঢোকাতে বলেন। এমন অপমানিত রাজনৈতিক জীবনে হইনি।”এ প্রসঙ্গে চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে।
মীনাক্ষীর অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী তজমুল বলেন, “সিপিএম নেত্রী ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে আমি নেহাত মানুষের দরকার না পড়লে থানায় যাই না।”