উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাভাষীদের ভিনরাজ্যে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার হরিয়ানার (Haryana) গুরুগ্রামে বাংলাদেশি সন্দেহে বাংলাভাষী যুবকদের থানায় নিয়ে গিয়ে জামাকাপড় খোলানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। সন্দেহভাজনদের ডিটেনশন সেন্টারে আটকে রাখারও অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই শ্রমিকদের (Migrant Staff) একজন অসমের চিরাংয়ের বাসিন্দা, অপরজন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা।
ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি, গুরুগ্রামের ঝাড়সার একটি বস্তিতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ১৮ জুলাই রাতে পুলিশ তাঁদের পরিচয়পত্র যাচাই করার জন্য সেক্টর ১০এ থানায় তুলে নিয়ে যায়। অভিযোগ, থানায় জামাকাপড় খুলিয়ে কেবল অন্তর্বাসটুকু রেখে তাঁদের পরীক্ষা করা হয়। তারপর পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাদশাপুর এলাকার একটি ডিটেনশন সেন্টারে। সেখানে মোট ১২ জনকে আটক করে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন ওই শ্রমিকরা। বুধবার চারদিন পর তাঁদের দু’জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। যদিও ওই যুবকদের তোলা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, পরিচয়পত্র যাচাইয়ের জন্য ওই যুবকদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কাউকে জামাকাপড় খুলতে বলা হয়নি।
অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) বাংলাদেশি সন্দেহে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) চার যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের চারজন নির্মাণশ্রমিক হিসাবে কাজ করার জন্য সপ্তাহ তিনেক আগে চেন্নাই গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ১৫ জুলাই তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুরে কয়েকজন তাঁদের নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। চারজন বাংলায় কথা বলতেই তাঁদের লোহার রড, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চারজনই মুর্শিদাবাদে ফিরে এসেছেন। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।