Mekhliganj | ফাঁকা জমিতে সবুজায়ন, গেস্টহাউসের প্রস্তাব

Mekhliganj | ফাঁকা জমিতে সবুজায়ন, গেস্টহাউসের প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


শুভ্রজিৎ বিশ্বাস, মেখলিগঞ্জ: বাম জমানায় মেখলিগঞ্জ ব্লকের বাগডোকরা–ফুলকাডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মেখলিগঞ্জ পুরসভার (Mekhliganj) তরফে ১৪ বিঘা জমি নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু জমির অবস্থান আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তির কারণে সেখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি সম্ভব হয়নি। মেখলিগঞ্জ পুরসভার তরফে পরবর্তী সময়ে ওই জমিতে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার সিংহভাগ কাজ হয়ে গিয়েছে।

পুরবাসীর দাবি, পুরসভার ওই জমিকে ফেলে না রেখে গঠনমূলক কিছু করা হোক। যার ফলে যেমন ওই জমি ফাঁকা পুরসভাকে ফেলে রাখতে হবে না, তেমনি পুরসভার আয়ের পথও প্রশস্ত হবে।  শহরবাসী নিজের নিজের প্রস্তাবের সঙ্গে নানা যুক্তি দিচ্ছেন। ওই এলাকা থেকে সামান্য কিছু দূরেই রয়েছে ঐতিহাসিক তিনবিঘা করিডর। তিনবিঘা করিডর দেখতে দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এলাকায় আসেন। কিন্তু ওই এলাকায় থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। তিনবিঘা করিডর সংলগ্ন এলাকায় তিনবিঘা উদ্যান থাকলেও তা বেহাল অবস্থায় রয়েছে। তাই মেখলিগঞ্জের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য বাগডোকরা–ফুলকাডাবরি এলাকার জমিতে একটা গেস্টহাউস তৈরি করা গেলে তাতে পুরসভার আয়ের পথ প্রশস্ত হবে। অন্যদিকে, একাংশ শহরবাসী চাইছেন ওই জমিতে মূল্যবান গাছ লাগানো হোক। এর ফলে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে, তেমনি আগামী সময়ে মেখলিগঞ্জ পুরসভার একটি আয়ের পথও তৈরি হবে। মেখলিগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান প্রভাত পাটনি বলেন, ‘জমির অবস্থান সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় হওয়ার ফলে সেখানে কিছু করার আগে সবদিক বিচার করে সঠিক পরিকল্পনা করা ভীষণ প্রয়োজন। নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। পর্যটনকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি ভাবনার মধ্যে রয়েছে।’

মেখলিগঞ্জ শহরের বাসিন্দা স্বাধীন দাস বলেন, ‘পুরসভা ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য জমি কিনেছিল। কিন্তু তা তৈরি হয়নি। সেই জমি এভাবে ফেলে না রেখে সীমান্ত এলাকায় পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে সেখানে গেস্টহাউস নির্মাণ করা যেতে পারে। এর ফলে তিনবিঘাগামী পর্যটকরা সীমান্তে কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন। পাশাপাশি পুরসভার আয়ের পথও প্রশস্ত হবে।’

শহরের বাসিন্দা বাপি দাস বলেন, ‘কোভিডের সময় আমরা অক্সিজেনের গুরুত্ব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি। সরকার, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গাছ লাগানোর বার্তা দিয়েছে। পুরসভা ওই ফাঁকা জমিতে শাল, সেগুনের মতো মূল্যবান গাছ লাগাতে পারে। আগামীতে পুরসভা আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *