উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের দম্পতি সোনম রঘুবংশী ও রাজা রঘুবংশীর একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আনলেন এক ট্রাভেল ব্লগার। ভিডিওটি সোনমের স্বামী রাজা রঘুবংশীকে হত্যার (Meghalaya Homicide) ঠিক আগের বলেই মনে করা হচ্ছে। দেব সিং নামে ওই ব্লগার তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন ভিডিওটি। যাতে দেখা যাচ্ছে, যেদিন রাজা রঘুবংশীকে খুন করা হয় সেদিনই তাঁরা মেঘালয়ের ডাবল-ডেকার লিভিং রুট ব্রিজের পথে ট্রেকিং করে চলেছেন। সোনমের পরনে রয়েছে একটি সাদা শার্ট ও হাতে একটি লাঠি। কোনও কিছু না বুঝেই ভিডিওটি রেকর্ড করেছিলেন ওই ট্রাভেল ব্লগার। তিনি ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘গত ২৩ মে আমি মেঘালয়ের ডাবল ডেকার রুট ব্রিজ ঘুরতে যাই। গতকাল সেখানকার ভিডিওগুলি পরীক্ষা করছিলাম তাতেই ইন্দোরের দম্পতির রেকর্ডিং পেয়েছি, সকাল ৯:৪৫ মিনিটের দিকে আমরা যখন নীচে নামছিলাম তখন এই দম্পতি নোংরিয়াত গ্রামে রাত কাটানোর পরে উপরের দিকে যাচ্ছিলেন। আমার মনে হয় এটিই ছিল ওই দম্পতির শেষ রেকর্ডিং এবং সোনম একই রকমের সাদা শার্ট পড়েছিল যেরকম রাজার দেহের কাছে পাওয়া গিয়েছিল।’
উল্লেখ্য, গত ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে ঘুরতে যান নবদম্পতি রাজা রঘুবংশী ও সোনম রঘুবংশী। ২৩ মে চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছনোর পর নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা। এই ঘটনার ১১ দিন পর খাদ থেকে উদ্ধার হয় রাজার দেহ। তবে খোঁজ মেলেনি সোনমের। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে খোঁজাখুঁজির পর, সোনমকে মেঘালয় থেকে ১,২০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের একটি ‘ধাবা’ থেকে পাওয়া যায়। সেখান থেকে বাড়িতে ফোন করেন সোনম। সেই ফোনের সূত্র ধরে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এরপরই সোনমের বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে জানা গেছে, সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। পুলিশ তাকেও গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া এই হত্যায় সাহায্য করার জন্য আকাশ রাজপুত, বিশাল সিং চৌহান এবং আনন্দ কুর্মি নামে আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গেছে রাজা রঘুবংশীকে খুনের জন্য এই ৩ জনকে অর্থের বিনিময়ে ভাড়া করা হয়েছিল। এই সপ্তাহের শুরুতে, শিলংয়ের একটি স্থানীয় আদালত পাঁচজন অভিযুক্তকেই আট দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে