উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ৫০ বছর পেরোনো একজন নারীর সামনে জীবনটা দেখা দেয় ভিন্নরূপে। শারীরিক পরিবর্তন তো ঘটেই, মনের জগতেও ঘটে অদলবদল। এই বয়সে শরীরের চাই আরও বেশি যত্ন, আরও বেশি মনোযোগ। এজন্য জোর দিতে হবে পুষ্টির ওপর, বাদ দিতে হবে কিছু খাবার (Meals)।
প্রথমেই বাড়তি লবণ খাওয়া ছাড়তে হবে। পাতে কিংবা কোনও পানীয়তে বাড়তি লবণ নেবেন না। লবণ, বিট লবণ, পিংক সল্ট, টেস্টিং সল্ট – সবেতেই স্বাস্থ্য ঝুঁকি। অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। চিপস, চানাচুর, শুঁটকি ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবার, সস, সয়া সস, মেয়োনিজ, পনির, কাসুন্দি, ইনস্ট্যান্ট নুডলস প্রভৃতিতে বেশ খানিকটা বাড়তি লবণ থাকে। এগুলো এড়িয়ে চললে উচ্চ রক্তচাপজনিত জটিলতার ঝুঁকি কমবে।
দ্বিতীয়ত, চিনি এড়িয়ে চলুন। মধু বা গুড়ও চিনির বিকল্প নয়। ভাত, রুটি, আলু কম খাবেন। চাল, আটা বা ময়দা দিয়ে তৈরি করা অন্যান্য খাবারও কম খেতে হবে। এভাবে সব দিক মেনে চলতে পারলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়াবিটিস ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমবে।
তৃতীয়ত, মেনোপজের পর নারীদের হুট করে বেশি গরম লাগার সমস্যা হতে পারে। তাই এমন খাবার খেতে হবে, যাতে শরীর ঠান্ডা থাকে। যেসব সবজিতে জলের পরিমাণ বেশি যেমন, লাউ, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, চালকুমড়ো, ধুন্দুল, পটল প্রভৃতি পাতে রাখুন। এছাড়া ডাবের জল, শসা, পাকা পেঁপে, পাকা বেল, তরমুজ, কলা, টক ফল, পুদিনা পাতা প্রভৃতি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। আর অবশ্যই পর্যাপ্ত জল খাবেন।
চতুর্থত, ফাইবার বা আঁশযুক্ত ফল ও সবজি খাবেন। মিষ্টিকুমড়ো, চালকুমড়ো, ঝিঙে, চিচিঙ্গায় প্রচুর আঁশ পাবেন। কলাতেও আঁশ আছে। তাছাড়া খোসা সহ কিছু ফল খেতে পারেন। কিছু সবজির খোসা বিভিন্ন পদ তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। এসবেও প্রচুর আঁশ আছে। পাশাপাশি গোটা শস্য দিয়ে তৈরি খাবার খান। ডাল ও বাদাম থেকেও খানিকটা আঁশ পাবেন।
পঞ্চমত, খাদ্য তালিকায় যেন ক্যালসিয়াম থাকে। এজন্য কাঁটা সহ ছোট মাছ খেতে পারেন। এক গ্লাস দুধ কিংবা তা দিয়ে তৈরি খাবার বা দইও খেতে পারেন। পালং শাক, ব্রোকোলি ও কাঠবাদামে রয়েছে কিছুটা ক্যালসিয়াম। এছাড়া ভিটামিন-ডি’র চাহিদা মেটাতে সকাল ৭টা থেকে ১২টার মধ্যে অন্তত ২০ মিনিট শরীরে রোদ লাগান।