ময়নাগুড়ি: এক সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিৎসায় গাফিলতিতেই সদ্যোজাত শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এই অভিযোগে এদিন পরিবারের লোকেরা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় হাসপাতালে। খবর পাওয়া মাত্রই হাসপাতালে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। মৃত শিশুর পরিবারের তরফে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। পুলিশ মৃত শিশুটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, গত ২৮ মার্চ সন্তান প্রসবের জন্য ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন রামশাই কাউয়াগাব এলাকার বাসিন্দা পিংকি রায়। রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ মহিলার প্রসব যন্ত্রণা উঠলে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের ওটিতে। সেখানে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। প্রসবের পরেই সদ্যোজাত শিশুটির মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এদিকে প্রসূতি পিংকি রায়ের স্বামী প্রশান্ত রায়ের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক প্রসব না করিয়ে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব করানো হলে শিশুটি বেঁচে যেত। তিনি বলেন, ‘এদিন সকাল ৮ টা নাগাদ স্ত্রীকে ওটি তে ঢোকানো হয় প্রসবের জন্য। স্ত্রীর পরিস্থিতি দেখে আমি বারবার ডাক্তার নার্সকে বলেছি সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি করাতে। কিন্তু চিকিৎসকরা আমার কোনও কথায় কান দেয়নি। এদিন দুপুর ১২টার সময় আমাকে জানানো হয় প্রসবের পরপরই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। আমরা চিকিৎসকদের গাফিলতির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। সেই সঙ্গে দোষী চিকিৎসকদের শাস্তি চাইছি।’
এদিন শিশু মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালে ভীড় জমান প্রসূতির আত্মীয় পরিজনরা। নিমেষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্ত্বরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর চড়াও হন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষের নেতৃত্বে হাসপাতালে আসে বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিলে হাসপাতাল ছাড়েন বিক্ষোভকারীরা।