নাগরাকাটা: সুপ্রিম রায়ে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। সেই হতাশার মাঝে আশার আলো দেখিয়েছে মেটেলি (Matelli) সংলগ্ন এলাকার বাগানের ১৫ জন তরুণ। তাঁরা মেটেলি আইআইটি থেকে কোর্স শেষ করেই কর্ণাটক, অসম, সিকিম, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার নানা কারখানায় কাজ পেয়েছেন।
২০২২ সালে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে দুই বছরের কোর্স চালু হয়। চাকরি পাওয়া ১৫ জনই ওই ব্যাচের। প্রথম ব্যাচের সকলেই চাকরি পাওয়ায় খুশি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক থেকে অন্য অংশীদাররাও। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মহম্মদ ইরফানের বক্তব্য, ‘কেউ যদি মনোযোগ সহ আইটিআই বিভিন্ন কোর্স পাশ করে তাহলে তার কাজের অভাব থাকবে না। প্রথম ব্যাচের ১৫ জনের কর্মসংস্থান সেটাই প্রমাণ করল।’
ওই প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত জব ফেয়ার থেকেই বিভিন্ন কোম্পানি ওই ১৫ জনকে নিয়েছে। প্রথমে ৮ জন বিভিন্ন রাজ্যে কাজে যোগ দেন। বাকি সাতজন সবেমাত্র বেঙ্গালুরুতে নিজেদের কর্মস্থলে গিয়েছেন। ওই সাতজন সোলার প্যানেল তৈরির কোম্পানিতে কাজের পাশাপাশি কর্ণাটক সরকারের অধীন কারিগরি শিক্ষা পর্ষদ থেকে নিজেদের ট্রেডের ওপর ডিপ্লোমা কোর্স করবেন। এখন স্টাইপেন্ড পেলেও ডিপ্লোমার কোর্স শেষে বেতন পাবেন ৩০-৩৫ হাজার টাকা।
যে ৭ তরুণ বেঙ্গালুরুতে গিয়েছেন তাঁরা হলেন চালসার অ্যাবেল ব্যারেটো কেরকেট্টা, রাজদীপ ওরাওঁ ও জয়দীপ ওরাওঁ, নাগেশ্বরী চা বাগানের সোনুকুমার মিশ্র, নাগরাকাটার সন্দীপ দোরজি, ইনগু চা বাগানের অতীশ পর্জা ও জুরন্তী চা বাগানের লোকেশ টিগ্গা। তাঁদের মধ্যে ৪ জন ইলেক্ট্রো মেকানিক ও ৩ জন ইলেক্ট্রিসিয়ান ট্রেডের ওপর কোর্স করেছেন।
চা বাগান এলাকায় তরুণদের এমন সাফল্যে খুশির পরিবেশ। মেটেলি পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি বিদ্যা বারলা বলেন, ‘শ্রমিক পরিবারের নতুন প্রজন্মের এই উত্তরণ এককথায় দৃষ্টান্তমূলক। আমরা চাইছি, আরও বহু ছেলেমেয়ে এভাবে বৃত্তিমুখী শিক্ষাকে গ্রহণ করে জীবনে সফল হোক।’
ওই প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় ব্যাচে ১০০ জন পড়ুয়া রয়েছেন যাঁদের মধ্যে অনেকেই তরুণী। দ্বিতীয় ব্যাচের ১০০ জনের প্লেসমেন্ট তৈরি আছে বলে জানিয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ।