উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ১০ দিন ব্যাপী মণিপুর বন্ধের ডাক দিল মেইতেই গোষ্ঠীভুক্ত সংগঠন আরামবাই টেংগোল। উল্লেখ্য, অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে মেইতেই গ্রুপের নেতা আসেম কাননকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। এরই প্রতিবাদে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মেইতেই সংগঠন (Meitei) আরামবাই টেংগোলের (Arambai Tenggol) পাঁচ স্বেচ্ছাসেবক গ্রেপ্তারের পর শনিবার রাতেই বিক্ষোভ শুরু হয়। যাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এরপরই মণিপুরের পাঁচটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় (Web suspended)। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি এলাকায় জারি করা হয় কার্ফিউ (Curfew)। মাথায় পেট্রোল ঢেলে বিক্ষোভ জানাতে দেখা যায় বেশ কিছু মেইতেই সদস্যকে। এই আবহে রবিবার ইম্ফল বিমানবন্দর থেকে কাননকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে দিনভর ধরে চলা অশান্তির আবহে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে র্যাফ, আধাসেনা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে এদিন কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে নিরাপত্তাবাহিনী। সেই কাঁদানে গ্যাসে সেল ফেটে একজন ১৩ বছরের কিশোর আহত হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, থৌবাল, বিষ্ণুপুর এবং কাকচিং জেলায় শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে পাঁচদিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, থৌবাল এবং কাকচিং জেলায় চার বা ততোধিক লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ কার্ফিউ জারি করা হয়েছে বিষ্ণুপুরে। সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সমাজবিরোধীরা ঘৃণামূলক বার্তা, উসকানিমূলক ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার করতে পারে। যার ফলে আরও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোনও ব্যক্তি এই নির্দেশ লঙ্ঘন করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।