উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ২ দিন হল ইস্তফা দিয়েছেন মণিপুরের (Manipur) বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। কিন্তু তারপরও নতুন কাউকে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে পারেনি বিজেপি। ফলে কানাঘুষো শুরু হয়েছে, হয়তো মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে পারে কেন্দ্র। বীরেন সিংয়ের (Biren Sing) ইস্তফার দিন থেক ইম্ফলেই ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন বিজেপির (Bjp) তরফে উত্তর পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বে থাকা সম্বিত পাত্র। মঙ্গলবার তিনি রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি জল্পনা দেখা দেয় বিধানসভায় কংগ্রেসের অনাস্থা আনলে প্রস্তাবের পক্ষে বেশ কয়েকজন শাসক জোটের বিধায়ক ভোট দিতে পারেন। এরপরই দিল্লিতে অমিত শায়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইম্ফলে ফিরে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন বীরেন সিং।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে মণিপুরে ভয়ঙ্কর জাতি হিংসা (Ethnic Violence) শুরু হয়। সেই আগুন এখনও নেভেনি। এই হিংসায় অন্তত ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সব কিছুর জন্যই বিরোধীদের সমালোচনার নিশানায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। বিভিন্ন সময় বিরোধীদের দাবি সত্ত্বেও হিংসা শুরুর প্রায় ২ বছর পর বিজেপি বীরেন সিংকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিল। দলের অন্দরে শঙ্কা রয়েছে, নতুন করে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী বাছা হলে শাসকজোটের সব বিধায়ক সঙ্গে থাকবে কিনা। তাই রাজনৈতিক মহলের অনুমান ঝুঁকি না নিয়ে দল রাষ্ট্রপতি শাসনের পথেও পা বাড়াতে পারে। একবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা পুরোপুরি কেন্দ্রের উপর ন্যাস্ত হবে। সেক্ষেত্রে হিংসাজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলাও কেন্দ্রের পক্ষে সহজ হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। মণিপুরের বিজেপি সভাপতি এ সারদা দেবী বলেন, ‘রাজ্যের সংহতি ও জনগনের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই বীরেন সিংয়ের ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে বীরেন সিং অক্লান্ত ভাবে মণিপুরের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন, তার ইস্তফাও রাজ্যের সংহতি রক্ষায় তার আগ্রহের কথাই তুলে ধরছে।’