Manikchak | নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা! অসীম সাহসী এক যুবকের প্রচেষ্টায় প্রাণে বাঁচল তরুণী        

Manikchak | নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা! অসীম সাহসী এক যুবকের প্রচেষ্টায় প্রাণে বাঁচল তরুণী        

ব্লগ/BLOG
Spread the love


মানিকচক: আত্মহত্যার জন্য ফুলহর নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু এক যুবকের প্রচেষ্টায় প্রাণে বেঁচে গেলেন তিনি। নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অবধারিত মৃত্যুর হাত থেকে তরুণীকে ফিরিয়ে নিয়ে এলেন অসীম সাহসী সেই যুবক। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত মথুরাপুরের সংকরটোলা গ্রামে ফুলহর নদীর ভূতনি সেতুতে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বর্তমানে তরুণী মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তরুণীর নাম ও পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত মথুরাপুরের সংকরটোলা গ্রামে ফুলহর নদীর উপর অবস্থিত ভূতনি সেতু। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার বিকেলেও স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমান ভূতনি সেতুর ওপর। এদিন বিকেল  নাগাদ অজ্ঞাত পরিচয় এক তরুণী সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ কারোর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিল। হঠাৎই ফোন কেটে ভূতনি সেতুর রেলিংয়ে উঠে সটান ঝাঁপ দেয় ফুলহর নদীতে। তরুণীর কাণ্ড দেখে হৈচৈ পড়ে যায় ভূতনি সেতুতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তরুনীটি কে বাঁচাতে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয়।

সেই সময় এলাকার এক যুবক তরুণীকে বাঁচাতে সেতুর উপর থেকে  ফুলহর নদীতে ঝাঁপ দেন। মুহূর্তের মধ্যে তরুণীকে জল থেকে উদ্ধার করেন। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে মানিকচক থানার পুলিশ। স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিসের সহযোগিতায় তরুণীকে তড়িঘড়ি পাঠানো হয় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে।

এই বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী এবং উদ্ধারকারী যুবক লিটন আলী বলেন, ‘আমি বন্ধুদের সঙ্গে ব্রিজের উপর ঘুরতে গেছিলাম। সেই সময় তরুণীটি ফোনে কথা বলার পর হঠাৎ করে সেতুর উপরে দৌড়তে শুরু করে। তা দেখেই আমার সন্দেহ হওয়ায় আমিও তাঁর পিছনে ছুটি। তারপরেই দেখি মেয়েটি সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। তাঁকে বাঁচাতে আমিও উপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দেই। মেয়েটি ভেসে যাচ্ছিল। অনেক চেষ্টার পর তাঁকে প্রাণে বাঁচিয়ে নদী থেকে উদ্ধার করি।’

অন্যদিকে এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ মিশ্র বলেন, ‘জানিনা ঠিক কি কারণে মেয়েটি এরকম কাণ্ড ঘটাল। তবে ফোনে কথা বলতে বলতে হঠাৎই নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা দেখে যা মনে হয় প্রেমঘটিত কারণেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেয়েটি। তবে স্থানীয় এক যুবকের প্রচেষ্টায় প্রাণে বাঁচল মেয়েটি, এটাই সুখকর।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *