Manikchak | টাকার বিনিময়ে জমির উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট প্রদানে কারচুপি! কাঠগড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান

Manikchak | টাকার বিনিময়ে জমির উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট প্রদানে কারচুপি! কাঠগড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


মানিকচক: জমির উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট প্রদানে কারচুপির অভিযোগ (Authorized inheritor certificates)। কাঠগড়ায় তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে জমির আসল মালিক সহ ভাইবোনদের নাম বাদ দিয়েই উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন প্রধান তপতী মণ্ডল মজুমদার। তাঁর সঙ্গে যোগসাজস করে কংগ্রেসের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা আঞ্জুমা সাজিরা জমিটি নিজ নামে রেজিস্ট্রি করিয়েছেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে মানিকচক থানায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের।

জানা গিয়েছে, মালদার মানিকচক (Manikchak) ব্লকের এনায়েতপুর অঞ্চলের শেখপুরা এলাকায় প্রায় এক একর ৫ শতক জমি রয়েছে। এই জমির বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৩ কোটি টাকা। সেই জমিতে শেখপুরা এলাকার প্রায় ৫০-৬০টি পরিবার দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। তাতে জমি মালিকেরও কোনও আপত্তি ছিল না।

কিন্তু কয়েকদিন আগেই তাঁরা জানতে পারেন যে, উত্তরাধিকার সার্টিফিকেটে কারচুপি করে জমিটি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা আনজুম সাজিরার নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন প্রধান তপতী মণ্ডল মজুমদার। এর বিনিময়ে আনজুম পঞ্চায়েত প্রধানকে মোটা টাকা দিয়েছেন বলেই অভিযোগ জমিতে বসবাসকারী বাসিন্দা সহ জমি মালিকের। এমনকি বসবাসকারীদের টাকার বিনিময়ে ওই জমি না কিনলে উচ্ছেদের হুমকিও দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। এই সমস্ত ঘটনার বিবরণ দিয়ে মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জমির মালিক শেখ আবিরুদ্দিনের ছেলে শেখ জায়েদ (৬২)।

শেখ জায়েদের অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাবার ও দাদুর নাম পালটে আমাদের বঞ্চিত করে শেখ ফরিদের নামে উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। উত্তরাধিকার সার্টিফিকেটে আমাদের বঞ্চিত রাখা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই কারচুপি করেছেন।’

যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এনায়েতপুরের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তপতী মণ্ডল মজুমদার। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বাক্ষর এবং কোর্টের অ্যাফিডেভিটের উপর ভিত্তি করে উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট দিয়েছি। আমার নামে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে।’ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা আনজুম সাজিরাও এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘এলাকার কিছু দালালরা স্থানীয় মানুষজনদের বিভ্রান্ত করে আমাকে বদনাম করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *