Malda Faculty | ইতিহাস গবেষণায় অগ্রণী মালদা কলেজ

Malda Faculty | ইতিহাস গবেষণায় অগ্রণী মালদা কলেজ

শিক্ষা
Spread the love


হরষিত সিংহ, মালদা: ইতিহাসে সমৃদ্ধ মালদা (Malda)। গৌড়, আদিনা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছিটিয়ে নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন। আদিনা-গৌড় নিয়ে চর্চা হলেও আজও মানুষের কাছে অজানা জেলার অনেক তথ্য। এবার জেলার ইতিহাস ও মালদাকেন্দ্রিক ইতিহাস চর্চায় আগ্রহ বাড়াতে একধাপ এগোল মালদা কলেজের ইতিহাস বিভাগ। মালদা কলেজের (Malda Faculty) সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সাংসদ। দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ইতিহাস গবেষণায় ও ইতিহাস চর্চা নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। শুধুমাত্র মালদা জেলা নয়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের ইতিহাস গবেষণা চর্চা নিয়ে কাজ করবে। এই প্রথম উত্তরবঙ্গের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ মউ স্বাক্ষর করল। ৩১ মে কলকাতায় এই দুই প্রতিষ্ঠানের মউ স্বাক্ষর হয়। ৬ বছরের জন্য এই স্বাক্ষর হয়েছে। মউ করার পরেই মালদা কলেজ এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছে। ২ ও ৩ অগাস্ট আন্তর্জাতিক স্তরের একটি সেমিনারের আয়োজন করার দায়িত্ব ইতিমধ্যে পেয়েছে মালদা কলেজের ইতিহাস বিভাগ।

‘সময়ের ধারায় বাংলার সমাজ ও রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তন’ বিষয়ের উপর আন্তর্জাতিক স্তরের সেমিনারটি রয়েছে। মালদা কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ প্রবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই প্রথম উত্তরবঙ্গের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করল। মালদা কলেজের অধ্যক্ষের অনুপ্রেরণা ও প্রচেষ্টায় এই ধরনের কাজ সম্ভব হচ্ছে।’

পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ মূলত বাংলা ভাষায় ইতিহাস গবেষণায় অনুপ্রেরণা জোগায়। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন সহ ইতিহাস বিষয়ের বাংলা ভাষায় গবেষণা করে থাকে এই সংস্থা। দীর্ঘদিন ধরেই গোটা রাজ্যজুড়ে কাজ করছে। এবার এই সংস্থার সঙ্গে মউ করে আগামীতে একসঙ্গে ছয় বছর কাজ করবে মালদা কলেজ। মালদা জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি নিয়ে যেমন গবেষণা করবে। পাশাপাশি, ইতিহাস বিষয়ে পড়ানোর কৌশল বিষয়ক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। অজানা নানা ইতিহাস রয়েছে মালদায়। সেগুলো নিয়েও আগামীতে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। নিত্যদিন ইতিহাস বিষয়ে নানা পরিবর্তন হচ্ছে যেগুলো নিয়ে সকলের মধ্যে সচেতন হওয়া প্রয়োজন মূলত বিষয়ে পড়ানোর ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হচ্ছে সেগুলি নিয়ে বর্তমান সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলাজুড়ে স্কুলগুলিতে আলোচনা সভা, সেমিনার, শিবির হবে।

কলেজের অধ্যক্ষ মানসকুমার বৈদ্যর কথায়, ‘এসবের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছাত্রছাত্রীরা যেন লাভবান হয়। পাশাপাশি নতুন যে শিক্ষানীতি চালু হয়েছে। সেটিকে মাথায় রেখেও এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *