অভিষেক ঘোষ, মালবাজার: মাল পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের বাড়িতেই থাকেন বছর ৬২-র বুলবুলি দাশগুপ্ত। সঙ্গে থাকেন ওনার বোন চৈতালী দাশগুপ্ত। বছর ৫৬-র চৈতালি মানসিক ও শারীরিক ভাবে অসুস্থ। দুই বোন এখনও অবিবাহিতা। গত বছর জানুয়ারি মাসে মা শুভ্রা দাশগুপ্ত মারা যাওয়ার পর থেকে আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়েছেন তাঁরা। দেড় বছর হল, এখনও বাবার মৃত্যুর পর তাঁদের প্রাপ্য পেনশন পাচ্ছেন না বুলবুলি ও চৈতালি। একদিকে ওষুধের খরচ যোগাতে হিমসিম, সেই সঙ্গে অর্ধাহারে দিন কাটে তাঁদের। ভরসা শুধু মাসের সরকারি রেশন ও প্রতিবেশীদের সাহায্য।
বুলবুলি ও চৈতালির বাবা দিলীপ দাশগুপ্ত মারা গিয়েছেন ২০১১ সালে। তিনি ভারতীয় রেলের হেড ক্লার্ক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। দিলীপ বাবুর মৃত্যুর পর পেনশন পেতেন উনার স্ত্রী শুভ্রা। গত বছর জানুয়ারি মাসে মায়ের মৃত্যুর পর রেলের বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করেছেন বুলবুলি। তবে এখনও চালু হয়নি পেনশন। দুই বোনের কর্মসংস্থান বলতে কিছুই নেই। আপদে বিপদে সঙ্গী প্রতিবেশীরা। বুলবুলি দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমরা অবিবাহিতা, তাই আইনত আমরা এই পেনশনের ন্যায্য দাবিদার, তারপরেও রেলের তরফে কোনও ব্যবস্থা করেনি।’ তবে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনাল অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন স্তরে যাচাই করার পর পেনশনের অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ।
এই বিষয়ে রেল বোর্ডের সদস্য তথা বিজেপি নেতা রাকেশ নন্দী বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, শীঘ্রই ডিআরএম-কে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ করব।’ এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল ম্যানেজার অমরজিৎ গৌতম বলেন, ‘বিষয়টি ওয়েলফেয়ার বিভাগের অধীনে, বিলম্বের কারণ খতিয়ে দেখা হবে।’