কলকাতা: ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মালদা ডিপিএসসিকে দু’সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ কার্যকর করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। বাম আমলে ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চারটি জেলায় নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। গত বছর ২৬ এপ্রিল মালদা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা ডিপিএসসির চেয়ারম্যানকে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তা নিয়ে জটিলতা চলছিল। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে ডিপিএসসির চেয়ারম্যানকে।
২০০৯ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মালদা ডিপিএসসি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু ২০১২ সালে নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। ২০১৪ সালে আবার নিয়োগ শুরু করা হয়। লিখিত পরীক্ষাও নেওয়া হয়। ২০১৫ সালে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। শেষ পর্যন্ত ২০২১ সালে প্যানেল প্রকাশ করা হয়। ২০২২ সালে নিয়োগ শুরু হয়। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টে শূন্য পদে নিয়োগের দাবিতে মামলা দায়ের করা হয়। ওই সময় বিচারপতি মান্থার এজলাসে মামলার শুনানিতে আবেদনকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত অভিযোগ করেন, অযোগ্যরাও চাকরি পেয়েছেন। তাই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক। ওই সময় প্রায় ২৫০ জনকে শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে বলে আদালতে জানায় রাজ্য ও মালদা ডিপিএসসি। তারপর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা গড়ায়। একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চেও মামলা দায়ের করা হয়। এরপর বিভিন্ন বেঞ্চ এবং সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে মামলা আবার হাইকোর্টে ফিরে এসেছে। গত বছর মালদা ডিপিএসসির চেয়ারম্যানকে নিয়োগের যে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। তা কার্যকর করার জন্য আবার আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। এদিন এই মামলার শুনানিতে দু’সপ্তাহের মধ্যে আগের নির্দেশ কার্যকর করার অর্থাৎ নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।