শুভাশিস বসাক, ধূপগুড়ি: পুলিশের সচেতনতামূলক বার্তা থাকা সত্ত্বেও নথি ছাড়াই সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইলের কারবার চলছে ময়নাগুড়িতে (Mainaguri)। জেলা পুলিশের সাইবার সেল প্রচার চালিয়েও এই প্রবণতা রুখে দিতে পারছে না। ক্রেতা বা বিক্রেতা কেউই জানেন না, যে মোবাইলটি কেনা বা বিক্রি করা হচ্ছে, তা নিয়ে অপরাধমূলক কাজ হয়েছে কি না।
প্রায় আড়াই বছর আগে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল নিয়ে ময়নাগুড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল। ময়নাগুড়ির ফার্ম শহিদগড়পাড়া এলাকায় ফেরিওয়ালার পরিচয় দিয়ে বসবাস করা কয়েকজনের কাছ থেকে প্রচুর সংখ্যায় মোবাইল পাওয়া যায়। তার মধ্যে চোরাই মোবাইলও ছিল। সেসময় প্রচুর সংখ্যক মোবাইল বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেপ্তারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নতুন করে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইলের কারবার শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অনেকেই অল্প দামে পুরোনো মোবাইল ফেরিওয়ালাদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। মোবাইল টেকনিসিয়ানের হাতে পড়ে ওই মোবাইল অল্প দামে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কিছু ক্রেতা অল্প দামে সেটা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এভাবেই জাল ক্রমশ ছড়াচ্ছে। এক ক্রেতা বলেন, ‘নথি চাইলে দোকানদাররা স্পষ্ট বলে দিচ্ছেন, কেনার হলে কিনবেন, তবে নথি দিতে পারব না। এই ঘটনা প্রায় সর্বত্রই নজরে আসছে।’
তবে পুলিশ অবশ্য চুপ করে বসে নেই। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, কারও মোবাইল চুরি হয়ে গেলে তা রিপোর্ট করলে আইএমইআই নম্বর অনুযায়ী ব্লক করে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে আর কেউ মোবাইল চুরি করে অন করলেও কাজে লাগাতে পারবে না। তবে অনেক সময় মোবাইল নানা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হতে পারে। পরবর্তীকালে তা খোলা বাজারে চলে এলে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল হিসেবে কম দামে বিক্রিও হতে পারে। সেই মোবাইল যদি কেউ কেনেন, তাহলে অতীতে যেসব কুকর্ম হয়েছে, তার দায় চাপবে তাঁর ওপরই। তাই নথি ছাড়া বা তথ্য যাচাই না করে কেউই যাতে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল না কেনেন, তা নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, ‘পুলিশ প্রচার চালাচ্ছে। তবে মানুষকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’