Main Recruitment | ‘আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ নেই’, প্রাথমিকে চাকরি বাতিল মামলায় দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি পর্ষদের

Main Recruitment | ‘আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ নেই’, প্রাথমিকে চাকরি বাতিল মামলায় দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি পর্ষদের

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাথমিকে চাকরি বাতিল মামলায় দুর্নীতি হয়নি বলে সরাসরি দাবি করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী তথা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি (Main Recruitment) বাতিল মামলার শুনানিতে কিশোর দত্ত দাবি করেন, অনিয়ম আর দুর্নীতি এক নয়। দুর্নীতি প্রমাণ করতে গেলে টাকা নেওয়ার প্রমাণ দিতে হয়। একজন বা দুজনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ দায়ের করতে হয়। এখানে তেমন কোনও প্রমাণ নেই। কোনও আর্থিক লেনদেনেরও প্রমাণ উঠে আসেনি।

কিশোর দত্ত সওয়াল করেন, মামলাকারীরা আদালতের কাছে চাকরি বাতিলের আবেদন করেননি।  শুরুতে আবেদন ছিল, প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীদেরও যেন সুযোগ দেওয়া হয়। তাই এক্ষেত্রে দুর্নীতি শব্দটি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এছাড়াওবেশি নম্বর দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। পর্ষদের যুক্তি, বেশি নম্বর দেওয়া হলেও তার ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা যায় না। তাছাড়া ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ম মেনে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। তবে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। সে ক্ষেত্রে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ করা হয়েছে যা উচিত নয়।

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে  প্রাথমিকে ৪২ হাজার ৯০০ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার জন আবেদন করে। এই নিয়োগেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় তৎকালীন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। ২০২৩ সালের মে মাসে তিনি ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর  সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হলেও শীর্ষ আদালত তা ফের হাইকোর্টেই ফেরত পাঠায়। সেই মামলারই বিচার চলছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *