জামুড়িয়া ও আসানসোল: ময়নাতদন্ত না করে, কোনওরকম ডেথ সার্টিফিকেট ও নথি ছাড়াই প্রয়াগরাজ (Prayagraj) থেকে জামুড়িয়ার (Jamuria) মৃত বিনোদ রুইদাসের দেহ বাড়ি পাঠাল উত্তরপ্রদেশ সরকার! প্রশ্ন উঠছে, এভাবে দেহ বাড়িতে পাঠানো কতটা আইন সংগত?।
শুক্রবার অ্যাম্বুল্যান্সে করে বিনোদ রুইদাসের দেহ জামুড়িয়ায় নিয়ে আসা হয়। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক কনস্টেবল সহ বিনোদের শ্যালক বিষ্ণু রুইদাস ও তাঁর বন্ধু প্রেমকুমার। অ্যাম্বুল্যান্স সোজা যায় জামুড়িয়া থানার কেন্দা ফাঁড়িতে। জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং পড়ে এলাকায় আসেন। তিনি বিনোদ রুইদাসের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন। বিশ্বজিৎবাবু গোটা বিষয়টি পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পন্নমবলমকে জানান। ভবিষ্যতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তারজন্য আইনগত সবদিক খতিয়ে দেখে জেলা প্রশাসনের তরফে জামুড়িয়া থানার পুলিশকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বিনোদ রুইদাসের দেহর ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এদিন দুপুরে পুলিশের তরফে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
মৌনী অমাবস্যায় সঙ্গমে পুণ্যস্নান করতে গিয়েছিলেন জামুড়িয়ার কেন্দা এলাকার বছর ৪২-র বিনোদ রুইদাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শ্যালক ও বন্ধু। মঙ্গলবার গভীর রাতে পদপিষ্টের ঘটনায় (Maha Kumbh Stampede) কোনক্রমে নিজেদেরকে বাঁচাতে পারলেও বিষ্ণু ও তাঁর বন্ধু বিনোদকে রক্ষা করতে পারেননি। এদিন জামুড়িয়ায় জামাইবাবুর দেহ নিয়ে ফিরে এসে বিষ্ণু রুইদাস সেদিনের ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা বলেন।