উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মৌনী অমাবস্যায় মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) পুণ্যস্নান করতে গিয়ে পদপিষ্টে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের, আহত বহু। এই বিপর্যয়ের পর উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অসহযোগিতার অভিযোগ সামনে সামনে আসছে। যারমধ্যে মারাত্মক অভিযোগ, মৃতদেহ সনাক্তকরণের পর ডেথ সার্টিফিকেট পেতে কালঘাম ছুটেছে মৃতের পরিবারের লোকেদের। ডেথ সার্টিফিকেট তো দূর, চিরকুটে সই করে মৃতদেহ পাচ্ছেন মৃতের পরিবার!
উত্তরপ্রদেশ সরকার মঙ্গলবার ভোররাতে ঘটে যাওয়া পদপিষ্টের (Mahakumbh Stampede 2025) ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। তবে এই সংখ্যা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। যাদের মৃতদেহ (Lifeless Our bodies) ইতিমধ্যেই সনাক্ত করা হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে ডেথ সার্টিফিকেট-পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট না দিয়ে জোর করে চিরকুটে সই করে মৃতদেহ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই মৃতের পরিবারের প্রশ্ন, যদি ডেথ সার্টিফিকেট না পাই, তাহলে ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য কীভাবে আবেদন করব? পাশাপাশি গোটা ঘটনায় যোগীর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন সামনে উঠে এসেছে।
মৃত ৩০ জনের তালিকায় নাম রয়েছে বাংলার তিন বাসিন্দার। তাঁরা হলেন, কলকাতার বিজয়গড়ের বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দার (৬৫), পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর উর্মিলা ভুইয়াঁ (৭৮) এবং পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার কেন্দার বিনোদ রুইদাস (৪১)। এই তিন পরিবারই অভিযোগের সুরে বলেন, ডেথ সার্টিফিকেট (Loss of life Certificates) ছাড়াই চিরকুটে ‘প্রিয়জনের মৃতদেহ পেলাম’ লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।