উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ৪০ টিরও বেশি মাদ্রাসা এবং স্কুলের বিরুদ্ধে ভুয়ো বা অযোগ্য শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করে সরকারি তহবিল আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে উঠে এসেছে অবাক করা তথ্য। ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে জানান হয়েছে, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনুমোদন রয়েছে এমন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নামে বৃত্তি দাবি করেছে। ৯৭২ জন শিক্ষার্থীর নাম ব্যবহার করে প্রায় ৫৭.৭৮ লক্ষ টাকা তোলাও হয়েছে। এই ঘটনায় ১০০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তদন্তের আওতায় রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ শৈলেন্দ্র সিং চৌহান বলেন, “আমরা ৪০টি স্কুল এবং মাদ্রাসার পরিচালকদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছি। যদি শিক্ষার্থীরাই কাল্পনিক প্রমাণিত হয়, তাহলে আরও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই কেলেঙ্কারি জন্ম দিয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কেরও। বিরোধীরা বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে এটিকে শিক্ষা-সম্পর্কিত কেলেঙ্কারির ক্রমবর্ধমান তালিকায় আরেকটি সংযোজন বলেও অভিহিত করেছে। প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রী পিসি শর্মা বলেন, “ব্যাপম থেকে নার্সিং পর্যন্ত, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কেলেঙ্কারি হয়েছে। এই অর্থ উদ্ধার করে যোগ্যদের হাতে তুলে দিতে হবে।” এই প্রসঙ্গে সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রী কৃষ্ণা গৌর বলেন, ‘এই অভিযোগগুলি পূর্ববর্তী আমলে তোলা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি তদন্ত করছে। আমাদের বিভাগ সহযোগিতা করছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিয়েছে।’