উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মদ্যপান করলেই যে শরীরে ফ্যাটি লিভারের মতো রোগ বাসা বাঁধতে পারে, এই ধারণা একেবারে ভুল। শরীরে অ্যালকোহল উপস্থিত না থাকলেও এই অসুখ হতে পারে। তাছাড়া বাড়িতে বানানো হালকা তেল-মশলা দেওয়া খাবার অনেকেরই খেতে ভালো লাগে না। উলটে ভাজাভুজি, রাস্তা থেকে কেনা খাবার খেতেই বেশি পছন্দ করেন অনেকে। তাই কমবয়সিদের মধ্যেও লিভারের রোগ (Liver Illness) বেড়ে চলেছে। তবে লিভার ভালো রাখতে হলে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খাদ্যতালিকা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। জানুন সেগুলি…
বীজ থেকে তৈরি তেল
রান্নায় তেল দেওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদেরাই বলছেন রোজ কিছুটা তেল শরীরের জন্য দরকারিও। তবে কিছু বীজ থেকে তৈরি তেল ক্ষতিকারক। সর্ষের তেল ছাড়া নানা রকম সাদা তেল রান্নায় ব্যবহার করা হয়। কেউ বেছে নেন সয়াবিনের তেল, সূর্যমুখীর তেল বা ভুট্টার তেল। তাছাড়া ক্যানোলা বা রেপসিডের তেলও ব্যবহার করা হয়। এইসব তেল শরীরে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
ফ্রুক্টোজ বেশি আছে এমন খাবার
প্রথমেই পড়ছে চিনি। কৃত্রিম চিনিও কম ক্ষতিকর নয়। লিভারের রোগ থেকে বাঁচতে চিনি পরিমিতই খেতে হবে। তাছাড়া নরম পানীয়, বেশি মিষ্টি দেওয়া হেলথ ড্রিঙ্ক, এনার্জি ড্রিঙ্ক, প্যাকেটজাত ফলের রসে চিনির মাত্রা অত্যন্ত বেশি।
ব্যথার ওষুধ কম খান
বেশ কিছু বেদনানাশক ওষুধ লিভারের ক্ষতি করে। কিছু প্যারাসিটামল বা কোলেস্টেরলের ওষুধও লিভারের প্রভূত ক্ষতি করে। ঘুম না হলে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ খেতে শুরু করেন। এই অভ্যাসের কারণে লিভারের জটিল রোগে ভুগতে হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে হবে।