সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারাদিনের ব্যস্ত শিডিউল। ঘুম থেকে উঠেই সোজা অফিসে। সেভাবে পরিবারের লোকজনদের সময় দিতে পারেন না বহু পুরুষ। অফিস থেকে ফিরে আবার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা। আর তারপরই বাড়ি ফিরে সোজা শৌচালয়। হাতে স্মার্টফোন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এভাবেই সময় কাটে সেখানে। বেশিরভাগ মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে সুর চড়ান। আপনিও কি একই সমস্যায় ভুগছেন? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে এই প্রতিবেদন আপনার কাজে লাগবেই।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারণ, একই ভঙ্গিমায় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে কোমর, শিরদাঁড়ার ক্ষতি হয়। দ্বিতীয়ত, শৌচালয় মানে সেখানে অল্পবিস্তর জীবাণু থাকবেই। তা সে যত পরিষ্কারই হোক না কেন। তাই সেখানে বেশিক্ষণ বসে থাকলে শারীরিক সমস্যা হবে। প্রস্রাবে সংক্রমণের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তৃতীয়ত, একটানা স্মার্টফোনে বুঁদ থাকা, মোটেও ভালো কথা নয়। তার ফলে চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
স্বামীর এমন বদভ্যাস দূর করবেন কীভাবে?
* কথা বলে যেকোনও সমস্যা মেটানো সম্ভব। তাই তাঁকে বোঝান আপনি মোটেও স্বামীর এই আচরণকে ভালো চোখে দেখছেন না। বিরক্ত হচ্ছেন।
* একটানা মোবাইল হাতে শৌচালয়ে সময় কাটানোর ফলে ঠিক কী কী শারীরিক সমস্যা হতে পারে, তা বোঝান।
* মোবাইল না নিয়ে শৌচালয়ে ঢুকতে বলুন। তাহলে কিছুটা সময় বাঁচবে।
* শৌচালয়ে ঢুকে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটাচ্ছেন, তা স্বামীকে বাইরে থেকে মনে করান। শৌচালয় থেকে বেরনোর কথা বলুন।
* শৌচালয়ে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটানোর অভ্যাস দূর করতে গেলে দাম্পত্য অশান্তির সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। স্বামী বলতে পারেন, সারাদিনের ব্যস্ততার পর এটাই তাঁর একান্ত সময় কাটানোর পন্থা। তাঁর মতামতকেও সম্মান দিন। তাঁকে বুঝিয়ে বলুন, আপনি একান্ত সময় কাটাতে বারণ করছেন না। শৌচালয়ে দীর্ঘ সময় কাটানোর বিপক্ষে আপনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন