নাগরাকাটা: ফের বাড়ির সামনে থেকে নাবালককে তুলে নিয়ে গেল চিতাবাঘ (Leopard assault) পরে ছেলেটির রক্তাক্ত খোবলানো দেহ উদ্ধার করে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাগরাকাটার আংরাভাসা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খেরকাটা গ্রামে। মৃতের নাম অস্মিত রায় (১৩)। সে গ্রাম থেকে কিছুটা দূরের খয়েরবাড়ি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্মিত এদিন সন্ধ্যায় খাওয়ার দাওয়ার পর মুখ ধুতে বেরিয়েছিল। সে সময়ই আগে থেকেই ঘাপটি মেরে থাকা একটি চিতাবাঘ তাঁর ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। টুটি ধরে টেনে যেতে থাকে। বিষয়টি প্রথম দেখেন বাড়ি লাগোয়া একটি দোকানের মালিক সিকান্দার আলম। তার চিৎকারে চিতাবাঘটি অস্মিতকে কলাগাছের ঝোপে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাইকে করে ৭ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে নিয়ে গেলেও প্রাণে বাঁচানো যায়নি।
ঘটনার পর হাসপাতালে জড়ো হওয়া বাসিন্দারা বন দপ্তরের বিরুদ্ধে চিতাবাঘের হামলা ঠেকাতে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসেন জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সমীর আহমেদ, মালবাজারের এসডিপিও দেশমুখ রোশন প্রদীপ, নাগরাকাটা থানার আইসি কৌশিক কর্মকার সহ অন্য পুলিশ আধিকারিকরা। বন দপ্তরের খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার সজল দে বলেন, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। এমনটা যাতে আর না হয় সেজন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হবে। সচেতনতা আরো বাড়ানো হবে।’ নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, বন দপ্তরের আরো বেশি দায়িত্বপরায়ণ হওয়া উচিত বলে মনে করি।