উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ‘প্রেম এবং যুদ্ধে সবকিছু ন্যায়সঙ্গত’, এইসব কথা সিনেমা বা কাল্পনিক গল্পেই হয়তো মানায়। কারণ বাস্তব জীবনে যুদ্ধের ভয়ঙ্কর চিত্রপটে প্রেমের আদৌ স্থান আছে কি? কীভাবেই বা আপনি ন্যায়সঙ্গত বলবেন একটি ২ বছরের শিশুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার মতো ঘটনাকে? লায়লা আল-খাতিব(Laila al-Khatib), প্যালেস্টাইনের এই বছর দুয়েকের শিশুকন্যাটি প্রাণ হারিয়েছে ইজরায়েলি সেনার(Israeli forces) গুলিতে। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের জেনিন শহরে মিলেছে এই শিশুটির দেহ। প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, ইজরায়েলি বন্দুকবাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে এই খুদের ছোট্ট মাথাটি। জানা গিয়েছে, এই হামলার পরেই দ্রুত লায়লাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাচানো যায়নি তাঁকে। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তাঁর অন্তঃসত্ত্বা মা। আর এই ঘটনার পরেই প্রতিবাদের ঝড় উঠছে গোটা বিশ্বজুড়ে।
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার ভোরে ইজরায়েলি সেনা হামলা চালায় জেনিনে(Jenin)। এই ইজরায়েলি হামলায় লায়লা সহ অন্তত ১৫ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ইজরায়েলি স্নাইপারের নিশানা থেকে বাদ যায়নি একটি ১৪ বছরের কিশোরও। এই ঘটনায় নেতানিয়াহুর সাফাই, লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজেই নাকি এই অভিযান। এই অভিযানের দরুন বেছে বেছে জনবহুল স্থানগুলিতেই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল ইজরায়েল এবং হামাস। সেই যুদ্ধবিরতির মাঝেই এই ইজরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল খুদে লায়লার।
জনৈক সংবাদপত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্যালেস্টাইনে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৬,৭০৭। আহত প্রায় ৯০ হাজার। যদিও অন্যান্য সূত্রের মতে নিহতের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে শিশু রয়েছে ১৮ হাজার! এদিন লায়লার শেষকৃত্যের আগে তাঁর মা-র লায়লাকে শেষবারের মতো জড়িয়ে ধরার ছবি বুকে কাপন ধরিয়েছে সমগ্র নেটদুনিয়ার। এই যুদ্ধের শেষ কবে? কবেই বা থামবে এই মৃত্যু মিছিল? সেই উত্তরের অপেক্ষাতেই কিন্তু রয়েছেন সারা বিশ্বের অগুনতি ‘মানুষ’।