উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (ইউটি) লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে বুধবার সকাল থেকে বিক্ষোভে (Ladakh Protest) উত্তাল লেহ (Leh)। বেলা গড়াতেই তা হিংসাত্মক আকার ধারণ করল। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় স্থানীয়দের। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।
এদিন আন্দোলনের ডাক দেয় লেহ অ্যাপেক্স বডি (LAB)-র যুব শাখা। লাদাখকে ষষ্ঠ তপশিলের অন্তর্ভুক্ত করা এবং পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি উঠেছে। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনায় লাভ হয়নি। অভিযোগ, একের পর এক ডেডলাইন দিয়েও দাবি মানেনি কেন্দ্র। এরপরেই সহিংস আন্দোলন ছড়ায়। আন্দোলনকারীরা এদিন বিজেপি অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি অফিসে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীরা কয়েকটি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। বিজেপি অফিসের বাইরে কী কারণে হিংসা ছড়িয়ে পড়ল, সে সম্পর্কে পুলিশ কোনও বিবৃতি দেয়নি। হিংসাত্মক আন্দোলন রুখতে প্রশাসন কার্ফিউ জারি করেছে। প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেহ’তে পাঁচ বা তার বেশি লোকের সমাবেশ নিষিদ্ধ। পূর্ব লিখিত অনুমোদন ছাড়া কোনও মিছিল, সমাবেশ বা পদযাত্রা করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, লাদাখকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে, ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে সংবিধানের ষষ্ঠ তপসিল দ্রুত কার্যকর করতে হবে, লাদাখের জন্য পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন চালু করতে হবে এবং লাদাখে একটির বদলে দুটি লোকসভা কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। এই দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শান্তির বার্তা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘হিংসাত্মক আন্দোলনে ক্ষতি আমাদেরই।’