Kushmandi | লবণ জলে বিবাহ-বিভ্রাট, অসুস্থ বর-কনে

Kushmandi | লবণ জলে বিবাহ-বিভ্রাট, অসুস্থ বর-কনে

শিক্ষা
Spread the love


সৌরভ রায়, কুশমণ্ডি: দুই পরিবারের সম্মতিতে পাকা হয়েছিল বিয়ের কথা। যথা সময়ে বিয়ের আসরে পৌঁছেও গিয়েছিলেন হবু বর। মধুরেণ সমাপয়েতের মতো এরপরই আচার-নিয়ম মেনে চারহাত এক হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিয়ের আসরে হঠাতই ছন্দপতন। সৌজন্যে হবু বরের খুদে শ্যালিকার দল। তাদের অনুরোধ রাখতে গিয়ে প্রাণ যায় যায় অবস্থা নতুন বরের।

একটু খুলে বলা যাক ব্যাপারটা। ঘটনাস্থল কুশমণ্ডি ব্লকের বহিতাপাড়া গ্রাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় মইনুদ্দিন আহমেদের মেয়ে মনিরা খাতুনকে বিয়ে করতে আসেন কালিয়াগঞ্জের ডালিমগা-লক্ষ্মীপুর গ্রামের সৈয়দ আলির ছেলে মাজিদার রহমান। গ্রামের রাস্তায় তখন এক এক করে লাইন ধরে ঢুকছে বরপক্ষের গাড়ি। ছোট-বড় সকলের উৎসাহের শেষ নেই। সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে ছোটরা। বরের গাড়ি এসে দাঁড়াতেই ছোট ছোট শ্যালিকারা এগিয়ে এল হবু জামাইবাবুকে বসার ঘরে নিয়ে যাবে বলে।

কেউ এগিয়ে দিল ফুলের তোড়া, আবার কেউ পাশে গিয়ে তুলল সেলফি। ফিতে কেটে বসার ঘরের দিকে পা ফেলতেই এগিয়ে এল দুটো হাত। এক হাতে লবণ মেশানো জলের গ্লাস, আরেক হাতে শরবতের গ্লাস। শ্যালিকাদের এগিয়ে দেওয়া জল না খেয়ে এক পা ফেলার উপায় নেই জামাইবাবুর। অগত্যা লবণ মেশানো এক গ্লাস জল ঢক ঢক করে পান করে বসার ঘরের দিকে এগিয়ে গেলেন হবু বর। আর এরপরেই ঘটল বিবাহ-বিভ্রাট!

সারাদিন অনাহারে থাকার পর লবণ জল খাবার দশ মিনিটের মধ্যেই শরীর খারাপ করতে শুরু করে মাজিদারের। এমনকি হয় বমিও। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শেষপর্যন্ত তাঁকে নিয়ে আসা হয় কুশমণ্ডি হাসপাতালে। মুহূর্তেই বিয়েবাড়ির হাসিখুশি চেহারা বদলে যায় উদ্বেগ আর অস্বস্তিতে। বরযাত্রীরাও গাড়ি ঘুরিয়ে চলে আসেন হাসপাতালে। শুরু হয় জল্পনা ‘লবণ জলের মধ্যে অন্য কিছু মেশানো ছিল না তো?’ হবু বরের এমন অবস্থা দেখে কনে মুহুর্মুহু মূর্ছা যান। হাসপাতালে আনতে হয় তাঁকেও। কুশমণ্ডি হাসপাতালের বাইরে তখন চরম উত্তেজিত দুই পক্ষ। কয়েক ঘণ্টা প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন মাজিদার রহমান। থেমে যায় সমস্ত জল্পনা, চিৎকার-চ্যাঁচামেচি। সকলেই ফিরে আসেন বিয়ের আসরে।

ঘটনার উপসংহার অবশ্য মধুর। শেষপর্যন্ত ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে বিয়ে। নববধূকে নিয়ে রাতেই ফিরে যান বরপক্ষ। পরদিন ধুমধাম করে হয়েছে বৌভাতও। বরপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে আপাতত সুস্থ রয়েছেন বর-কনে দুজনেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *