উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর অবমাননা, বিকাশ ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামিম সহ একাধিক আইনজীবীকে হেনস্তার অভিযোগে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের (TMC Chief Kunal Ghosh) বিরুদ্ধে রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Excessive Courtroom)। সোমবার দুপুরে উচ্চ আদালতের তরফে কুণাল সহ আরও ৮ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়েছে। এদিনের শুনানিতে, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানান, ‘এটা খুব সিরিয়াস বিষয়। আদালত নির্দেশের পরেও কেউ মানছে না।’
সুপার নিউমারারি পোস্ট (Supernumerary Publish) সংক্রান্ত মামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ হেনস্থা করেন, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে। এমনকি তাঁরা বিকাশ ভট্টাচার্যের দুই জুনিয়র আইনজীবীকে জুতো দেখান বলে অভিযোগ ওঠে। এরই সঙ্গে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ছবি মাটিতে ফেলে পা দিয়ে মাড়ানো সহ তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য এবং স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। গোটা ঘটনায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সহ আরও ৮ জনের মদতের অভিযোগ সামনে আসে। এরপর অপমানিত আইনজীবীরা সমস্ত ঘটনা জানান প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমকে। তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে মামলা গ্রহণ করেন। তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে ঠিক করে দেন প্রধান বিচারপতি। সেই বেঞ্চের সদস্যেরা হলেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। আগের শুনানিতে বিচারপতিরা অভিযুক্তদের কাছে রিপোর্ট তলব করলেও কেউই রিপোর্টের উত্তর দেয়নি। এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হন বিচারপতিরা।
যদিও এদিনের শুনানিতে আদালতে হাজির হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। কুণালের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে সেটা ঠিক না। কারণ তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আর জবাব বা প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য আরও একটু সময় দেওয়া হোক।’ এরপর কুণালের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘যাই বলুন না কেন, কেন দেরি হল আদালত তা জানতে চায়। আমরা সবার বিরুদ্ধে রুল ইস্যু করছি। কারণ নির্দেশ কেউ মানেননি। কাউকে জেলে পাঠানো হচ্ছে না। তাই এই বিষয়ে আর সময় দেওয়া যাবে না। এই প্রেক্ষিতে নির্দেশ, কেন জবাব দিতে এত সময় লাগছে, শুধু মুখে এটা বললেই হবে না। জানাতে হবে লিখিত আকারে।’ আগামী ১৬ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।