কুমারগঞ্জ: এক জঘন্য ঘটনার সাক্ষী থাকল কুমারগঞ্জ থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম। এই গ্রামেই ১৩ বছর বয়সী এক বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নাবালিকাটি বিশেষ ভাবে সক্ষম হওয়ার পাশাপাশি স্পষ্ট করে কথাও বলতে পারেনা। কথা অস্পষ্ট হওয়ায় তার এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে তার বাবা তাকে ধর্ষণ করে আসছিল। এই ঘটনায় আজ তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ভুক্তভোগী ১৩ বছর বয়সী নাবালিকাটি তার বান্ধবীদের কাছে অস্পষ্ট ভাষায় এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিল। প্রথমে ভয় ও লজ্জায় তার বান্ধবীরা বিষয়টি কাউকে বলতে পারেনি। কিন্তু পরবর্তীতে গ্রামের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আয়োজিত এক সভায় আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমণিদের উপস্থিতিতে তারা এই নির্মম ঘটনা প্রকাশ করে। তাদের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমণিরা ওই নাবালিকাকে ডেকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁরা নিশ্চিত হন যে অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য। বিলম্ব না করে তাঁরা দ্রুত কুমারগঞ্জ থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের নাম রবি মণ্ডল (৪০), সে পেশায় সবজি ব্যবসায়ী।
তবে স্থানীয়দের দাবি, শুধুমাত্র বাবাই নয়, গ্রামের আরও তিনজন বয়স্ক ব্যক্তি নাকি এই নাবালিকার দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছিল। পুলিশ এই অভিযোগগুলিও গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
এই ঘটনায় পুরো গ্রামে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত দুই মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় ঘটনা যেখানে নিজের মেয়েকে বাবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে কুমারগঞ্জেরই অন্য এক গ্রামে ১৪ বছর বয়সী এক নাবালিকাকে ধর্ষণের পর অভিযোগ উঠেছিল নিজের বাবার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার অভিযুক্ত বাবা দীপক মণ্ডলও বর্তমানে পুলিশের হেপাজতে রয়েছে। একের পর এক এমন ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজকর্মীরা উদ্বিগ্ন। এই ধরনের জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হচ্ছে। এই ঘটনাগুলি সমাজে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।