বিশ্বজিৎ প্রামাণিক, কুমারগঞ্জ: কুমারগঞ্জ (Kumarganj) ব্লকের দিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালকুড়ি এলাকায় ফের বিষ দিয়ে মাছ মারার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মাছচাষি ইমতিয়াজ মিয়াঁর পাশাপাশি দুটি পুকুরে রবিবার গভীর রাতে কেউ বা কারা বিষ ঢেলে প্রায় ১৫ কুইন্টাল কাতলা ও রুই মাছ মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বছর পঁয়ত্রিশের ইমতিয়াজ, যিনি মাছ চাষ করেই জীবিকানির্বাহ করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ইমতিয়াজ বলেন, ‘এই নিয়ে চারবার আমার পুকুরে বিষ দেওয়া হল। ২০১৯ সালে একবার এবং ২০২৪ সালে দু’বার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বারবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবারও পুলিশে অভিযোগ জানাব।’
ইমতিয়াজের দাবি, তাঁর প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে এবং তাঁরাই এই কাজ করে থাকতে পারেন বলে তাঁর অনুমান।
ঘটনার রাতে পুকুর পাহারায় থাকা ইমতিয়াজের বৃদ্ধ বাবা আব্দুর রশিদ মিয়াঁ রাত সাড়ে ১১টায় পুকুর এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। তখন সন্দেহজনক কিছু দেখতে পাননি। কিন্তু ভোর ৫টার দিকে তিনি দেখতে পান পুকুরে প্রচুর মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এই দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোর্তুজা মণ্ডল, আবদু ল সাত্তার মিয়াঁ, মোশারফ মণ্ডল, গোলাম রব্বানি মণ্ডল, সামিদুল মণ্ডল, রাশেদ মণ্ডলরা দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন।
ইমতিয়াজের বক্তব্য, পুকুরে চাষ করা কাতলা মাছের ওজন ছিল প্রায় দুই কেজি এবং রুই মাছ প্রায় এক কেজির কাছাকাছি পৌঁছেছিল। আর মাত্র চার-পাঁচদিন পরেই মাছ বিক্রির পরিকল্পনা ছিল তাঁর। তিনি বলেন, ‘আমার সর্বনাশ হয়ে গেল।’
এ বিষয়ে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ (Police) জানিয়েছে, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। যদিও এখনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। বারবার এই ধরনের ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। তাঁদের কথায়, মাছচাষির চোখে জল, অথচ অপরাধীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।