কুমারগঞ্জ: স্ত্রীর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েছেন স্বামী। এমন খবর জানতে পেরেই দেড় বছরের শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে শুক্রবার রাতভর শ্বশুরবাড়ির সামনে সুবিচারের দাবিতে ধর্নায় বসলেন এক গৃহবধূ। যদিও বাড়ি ফাঁকা থাকায় শনিবার দুপুরে নিরুপায় হয়ে তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন। কয়েকদিন আগে ওই বধূ স্বামীর বিরুদ্ধে কোর্টে একটি মামলা করলেও ফের তিনি আইনের শরণাপন্ন হবেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকে।
বালুরঘাট ব্লকের রামপুরা-কিসমত এলাকার সাহানাজ খাতুন বছর তিনেক আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন কুমারগঞ্জ ব্লকের রাধানগরের রুবেল মণ্ডলকে। বিয়ের কয়েক মাস পরেই রুবেল সাইবার প্রতারণা সংক্রান্ত জাল সিম কাণ্ডে গ্রেপ্তার হন এবং তিন মাস জেলে কাটান। ওই সময় সাহানাজ বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন। এদিকে জেল থেকে বেরিয়ে রুবেল কয়েক মাস শ্বশুরবাড়িতে থাকেন এবং তাঁদের একটি কন্যাসন্তান জন্মায়। এদিকে পরে যখন সাহানাজ রাধানগরে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যান, তখন শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। এমনকি রুবেলও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন বলে সাহানাজের দাবি।
সম্প্রতি সাহানাজ জানতে পারেন, রুবেল তপন এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, শুক্রবার ইসলামিক মতে বিবাহের প্রথম ধাপ ‘মোহর’ সম্পন্ন করেছেন। এই খবর জানার পর ওইদিন রাতে দেড় বছরের শিশুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সাহানাজ শ্বশুরবাড়ি পৌঁছান। গোটা রাত সুবিচারের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন। কিন্তু বাড়ি ফাঁকা দেখে এদিন দুপুরে সাহানাজ ফিরে আসেন বাবার বাড়িতে।
তাঁর অভিযোগ, ‘শ্বশুরবাড়ির তরফে তাঁকে বারবার ত্যাগ করা হয়েছে এবং স্বামী রুবেল তাঁর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখছেন না। কয়েকদিন আগে স্বামীর বিরুদ্ধে কোর্টে একটি মামলাও করেছি। আবারও আইনের শরণাপন্ন হব।’