কুমারগঞ্জ: দেড় লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানার এসআই রোহিত ভগতের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সফিকুল মন্ডল নামে এক যুবক জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন যে, তাঁকে এবং তাঁর বন্ধু সুলতান মামুদ মন্ডলকে পুলিশের তরফে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল এবং পরে মুক্তির বিনিময়ে এই টাকা দাবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, সাতদিন আগেই কুমারগঞ্জ থানার এক এসআই, এক কনস্টেবল এবং তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে সফিকুল ও সুলতানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, বিনা কারণে তাঁদের থানায় ধরে এনে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় সুলতানের কোমরের হাড়ে চিড় ধরে এবং সফিকুলের ওপর এমন অত্যাচার চলে যে পুলিশের লাঠি পর্যন্ত ভেঙে যায়। মারধরের পর তাঁরা গুরুতর আহত অবস্থায় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীনও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। সফিকুলের দাবি, তাঁদের ছাড়ার জন্য এসআই রোহিত ভগত দেড় লক্ষ টাকা দাবি করেন। এমনকি, ফোন করেও টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীর দাবি তাঁর কাছে টাকা চাওয়ার কল রেকর্ড রয়েছে। যদিও অভিযুক্ত এসআই রোহিত ভগত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘এইসব অভিযোগ মিথ্যে। যারা এই অভিযোগ করছে, তারা অবৈধ কাজে যুক্ত।’
এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত বিষয়টি আমার কাছে আসেনি।’ সফিকুলের আইনজীবী অভীক সেন বলেন, ‘ইমেল মারফত এবং বাই পোস্টে এসপির কাছে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। এমনকি এই অভিযোগের ভিত্তিতে কুমারগঞ্জ থানা থেকে সফিকুলের বাড়ি পুলিশও গিয়েছিল।’