কুমারগঞ্জ: খেলার ছলে পাড়ার বন্ধুরা মিলে পুজো করেছিল শ্মাশানকালীর। পুজো শেষ হওয়ার পর প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে ঘটল মর্মান্তিক পরিণতি। মৃত্যু হল দুই খুদের। ঘটনায় বাকরুদ্ধ কুমারগঞ্জের (Kumarganj) ধাদলপাড়া।
স্কুলে (Faculty) গ্রীষ্মের ছুটি। সকাল হতেই পাড়ার কচিকাঁচারা একজোট হয়ে নানান ধরনের খেলায় মেতে ওঠে প্রতিদিনই। আজও তার অন্যথা হয়নি। সকালবেলায় ধাদলপাড়ার স্থানীয় জুনিয়র বেসিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী, বছর আটের মিঠি সরকার (ঈশা) ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী, বছর নয়ের মন্টি সরকার এবং আরও কয়েকজন মিলে কাগজের শ্মাশানকালী বানিয়ে পুজো পুজো খেলা শুরু করে। খেলার ছলে পুজো শেষ হতেই, ঠিক বড়দের মতো স্থানীয় নদীতে ঠাকুর ভাসাতে যায় এই খুদের দল। চারজনে মিলে নদীতে নামে। কিছু বুঝে ওঠার আগে চার খুদেই নদীতে ভেসে যায়। তাদের মধ্যে ২ জনকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। বাকি দুই অর্থাৎ মিঠি এবং মন্টি তলিয়ে যায় নদীতে। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল ও এলাকাবাসীরা একত্রিত শুরু করেন তল্লাশি। দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে, দুপুর ১২:১৫ মিনিট নাগাদ নদী থেকেই উদ্ধার হয় দুই শিশুর নিথর দেহ। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Balurghat Hospital)। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং নদীরঘাটে ভবিষ্যতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অকালে দুটি ফুটফুটে প্রাণ শেষ হওয়ায় শব্দ হারিয়ে ফেলেছে বাড়ির লোকেরা। সঙ্গে গোটা গ্রামজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। সকলে একটা কথাই বলছেন, শিশুদের খেলাধুলা বিশেষ করে নদীপাড়ের বসে খেলাধুলার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত পরিবারের। একটু সতর্কতা আগামীতে বহু শিশুর প্রাণ বাঁচাবে।